অষ্ট্রেলিয়ায় স্মরণ সভা করেছে আওয়ামী লীগ। গত ২৬ সেপ্টেম্বর (সোমবার) সিডনির লাকেম্বার ধানসিঁড়ি রেস্টুরেন্টের ব্যাঙ্কোয়েট হলে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মরহুম নুরুল আজাদ, সদ্য প্রায়াত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় তিনজন নেতার স্মরণে শোক সভার আয়োজন করে। সভায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ অস্ট্রেলিয়া শ্রদ্ধাবনত চিত্তে স্মরণ করে সদ্য প্রয়াত বাঙালি জাতির এই শ্রেষ্ঠ সন্তানদের।
শোক ও শ্রদ্ধা জানানো হয় বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সাবেক উপনেতা সদ্য প্রয়াত সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে। এছাড়া স্মৃতিচারণ করা হয় জাতীয় সংসদের হুইপ অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বিকে। বক্তারা কথা বলেন জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ অধ্যাপক খালেদা খানমের কর্মময় জীবন নিয়ে। তারা স্মরণ করেন বাংলা মায়ের আরও একজন শ্রেষ্ঠ সন্তান বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, অস্ট্রেলিয়ার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নূরুল আজাদকে।
শুরুতেই শোক সভার সভাপতি ড. সিরাজুল হক আগত অতিথিদের পরিচয় তুলে ধরেন। এরপর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ অস্ট্রেলিয়ার ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাবিব হাসান টুলু পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেন।
সাধারণ সম্পাদক পি এস চুন্নুর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বাসভূমির প্রধান ও সাংবাদিক আকিদুল ইসলাম।বঙ্গবন্ধু পরিষদ অস্ট্রেলিয়ার সাবেক সভাপতি বিজ্ঞানী, লেখক, গবেষক ও বিশেষ অতিথি ডঃ রতন কুণ্ডু। সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন মেলবোর্ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও মনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাশেদুল হক মোল্লা, সিডনি আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আলতাফ হোসেন লাল্টু, সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি স্বপন দেওয়ান, অস্ট্রেলিয়া আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান রানা, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিক উদ্দিন ও সিডনি আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ আব্দুস সালাম।
প্রয়াত নুরুল আজাদকে নিয়ে স্মৃতিচারণ ও আবেগঘন বক্তব্য রাখেন তারই সুযোগ্য সন্তান সিডনি আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আজাদ, তার মেয়ে সোনিয়া আজাদ ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ অষ্ট্রেলিয়ার কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার মন্জু।
বাংলাদেশ থেকে আগত শোক সভার প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল।
বক্তব্য শেষে প্রয়াত নূরুল আজাদের পরিবারের সদস্যদের সৌজন্যে প্রায়াত নূরুল আজাদের উপর ৩০ মিনিটের একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সভা শেষে আগত অতিথিদের নৈশভোজে আপ্যায়ন করা হয়।