নারায়ণগঞ্জ: জেলার রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও গাজী গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী গোলাম মুর্তজা পাপ্পা বলেছেন, বর্তমান সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী বলেই সব ধর্মের কল্যাণে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘এ দেশ হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধসহ সব ধর্মের নাগরিকের। আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলেই দেশে সম্প্রীতি বজায় থাকে। মনে রাখতে হবে আওয়ামী লীগ সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সরকার।’
মুর্তজা পাপ্পা বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চায়। কিন্তু বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে এ দেশে প্রতিটি মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে নিজ নিজ ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনসহ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করছে। দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সমুন্নত রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর। বিএনপি-জামায়াত দেশে যেন অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে, সেদিকে সবাইকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত যতবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে ততবার হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আঘাত করেছে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে কেউ পূজা করতে পারেনি। কিন্তু এখন নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপন করছে।’
তিনি বলেন, ‘গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক) যখন প্রথম সংসদ সদস্য (নারায়ণগঞ্জ-১ আসন) হন তখন রূপগঞ্জে ৮টা পূজামণ্ডপ ছিল। এখন ৫১টি মণ্ডপ। হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাই-বোনেরা এখন আনন্দের সঙ্গে পূজা উদযাপন করতে পারছে। হিন্দু সম্প্রদায় ভালো আছে বলেই পূজামণ্ডপের সংখ্যা বাড়ছে।’
গাজী গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাজী গোলাম মুর্তজা পাপ্পা বলেন, ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার। আপনাদের (হিন্দু সম্প্রদায়) কিছু প্রয়োজন হলে আমাদের জানাবেন। আমরা ব্যবস্থা করে দেব। আমরা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা আপনাদের নিরাপত্তার স্বার্থে সচেতন আছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী আমরা আপনাদের পাশে আছি। বিরোধী দল পূজা নিয়ে যেন ষড়ষন্ত্র করতে না পারে, রাজনীতি করতে না পারে। সেজন্য হিন্দু-মুসলিম সবাই সতর্ক থাকবেন।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান তুহিন, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য নাঈম ভুঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুর রহমান সজিব, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিকদার প্রমুখ।