আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে দুর্ভিক্ষ হবে।’ বাংলাদেশে যেন খাদ্যাভাব দেখা না দেয়, সে ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুর্ভিক্ষ আসলে বাংলাদেশ যেন ভালো থাকে, সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতেও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ সোমবার সকালে ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস’ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ’ভর্তুকি দিয়ে কৃষি উৎপাদন সচল রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। খাদ্য উৎপাদনে মনোযোগী হতে হবে, সাশ্রয়ী হতে হবে। আমরা সবাই যদি উৎপাদনে থাকি তাহলে খাদ্য সংকটে আমাদের পড়তে হবে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’খাদ্যের পাশাপাশি পুষ্টি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। বীজ উৎপাদনে গবেষণা চলছে। খাদ্য প্রক্রিয়াজাতে গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি রপ্তানির লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। মানুষ যেন সুষম খাদ্য গ্রহণ করে সে বিষয়ে আরও সচেতন হতে হবে। আমরা শুধু খাদ্য নিরাপত্তাই করিনি, সুষম খাদ্যের কারণে মানুষের আয়ুষ্কালও বৃদ্ধি পেয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ’আমরা যা দেবো তা যেন অন্য দিকে না যায় সে জন্য কৃষি উপকরণ কার্ড আমরা কৃষকদের দিয়েছি। ২ কোটি কৃষক এই উপকরণ কার্ড পেয়েছে। কৃষকের ভর্তুকির টাকা যাতে তার ব্যাংকে সরাসরি চলে যায় আমরা সে ব্যবস্থাও নিয়েছি। মাত্র ১০ টাকায় তারা যেন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে সে ব্যবস্থা আমরা নিয়েছিলাম। আমরা শুরু করেছিলাম কুড়িগ্রাম থেকে। কারণ ওইসব এলাকাই ছিল সবচেয়ে দুর্ভিক্ষপূর্ণ এলাকা। সেখানেই কৃষকরা প্রথম ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ’আমরা আগে থেকেই একটা বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছিলাম, সেটা হচ্ছে গবেষণার মাধ্যমে লবণাক্তসহিষ্ণু, ক্ষরাসহিষ্ণু এবং জলমগ্নতাসহিষ্ণু ফসল উৎপাদনে… কারণ আমাদের দেশে মাঝে মাঝে দীর্ঘস্থায়ী বন্যা হলে ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়ে যায়। কাজেই এ ধরনের ধানবীজ যাতে গবেষণা করে পাওয়া যায় সে ব্যবস্থাটাও আমরা নিই। গবেষণার মাধ্যমেই আজকে শত শত প্রকারের উচ্চ ফলনশীন বীজ উদ্ভাবন হচ্ছে, সেগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। বিভিন্ন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হচ্ছে।’