বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে চীন।
বৃহস্পতিবার সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ চীন সাগরের ‘নো-ফ্লাই জোন’ এলাকায় আকাশসীমা লঙ্ঘন করে মার্কিন গুপ্তচর বিমানের অনুপ্রবেশের জবাবে বুধবার কিংহাই প্রদেশ থেকে ডিএফ-২৬বি নামের একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বেইজিং। এছাড়াও ঝেজিয়াং প্রদেশ থেকে অন্য একটি মাঝারি পাল্লার ডিএফ-২১ডি ক্ষেপণাস্ত্রও ছোড়া করা হয়েছে।
বেইজিংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইন মানার বাধ্যবাধকতা বারবার লঙ্ঘন করছে চীন। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় চীন তাদের পেশী দেখাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে হংকংভিত্তিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানায়, হাইনান প্রদেশ ও বিতর্কিত প্যারাসেল দ্বীপের মধ্যবর্তী স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র দুটির পরীক্ষা চালিয়েছে চীন।
সংবাদপত্রটিতে বলা হয়, মঙ্গলবার চীনের সামরিক বাহিনীর মহড়ার সময় বিনা অনুমতিতে ‘নো-ফ্লাই জোন’ এলাকায় অনুপ্রবেশ করে মার্কিন ইউ-২ গুপ্তচর বিমান।
ওইসময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লিউ জিয়াওমিং জানান, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড চীনের স্বাভাবিক মহড়া ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে ‘মারাত্মকভাবে ব্যাহত’ করছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান মার্কিন গুপ্তচর বিমানের অনুপ্রবেশকে ‘উস্কানিমূলক পদক্ষেপ’ হিসেবে উল্লেখ করে যুক্তরাষ্ট্রকে থামার আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার, চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র উ কিয়ান জানান, চীনা সামরিক বাহিনী ‘যুক্তরাষ্ট্রের সুরের তালে নাচবে’ না, যুক্তরাষ্ট্রকে কোনো ধরনের ‘সমস্যা’ও তৈরি করতে দেবে না।