জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগের একটি এবং তৃতীয়পক্ষের একটি কমিটি বিভ্রাটের কারণ খুঁজে বের করতে কাজ করবে।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৪ মিনিটে গ্রিডে বিপর্যয় ঘটলে পূর্বাঞ্চলীয় গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর অধিকাংশ বন্ধ হয়ে যায়। এতে দেশের অর্ধেক এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে।
এদিকে জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের চার ঘণ্টা পর রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সচল হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) উত্তরা, গুলশান, বারিধারা ও মিরপুরসহ কয়েকটি এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এর আগে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ের একাংশে বিদ্যুৎ ফিরেছে।
রাত ৯টা ১০ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন, মিরপুর, মগবাজার, মাদারটেক, রামপুরা, গুলশান, উলন, বসুন্ধরা, ধানমন্ডি, আফতাবনগর, বনশ্রী, ধানমন্ডি (আংশিক), আদাবর, শেরেবাংলা নগর, তেজগাঁও, মিন্টোরোড, মতিঝিল, শ্যামপুর, পাগলা, পোস্তগোলাসহ বেশকিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল হয়েছে।
একই সঙ্গে পাওয়ার গ্রিডের ইঞ্জিনিয়ার ও টেকনিশিয়ানরা অক্লান্ত শ্রম দিচ্ছেন, দ্রুতই বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হবে। ধৈর্যধারণের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
দেশের একমাত্র বিদ্যুৎ সঞ্চালনকারী সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুতের গ্রিড নানা কারণে বিপর্যয় হতে পারে। এটি এক সেকেন্ডে হলেও তা পুনরায় চালু করার বিষয়টি জটিল ও দীর্ঘ প্রক্রিয়া। তাই পুনরায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি কখন চালু হবে, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
তবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পিজিসিবির দক্ষ প্রকৌশলী দল দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ ফেরাতে নিবিড়ভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। যথাসম্ভব দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে তারা।
পিজিসিবি বলছে, গ্রিড বিপর্যয়ের কারণ ও সূত্রপাত কোথায় হয়েছে, তা জানা যায়নি। আপাতত দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ চালুর চেষ্টা করছে পিজিসিবি। ঢাকার কাছে টঙ্গীতে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। আরও কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরুর প্রস্তুতি চলছে।