বাংলার প্রবাহ রিপোর্ট: মিলল না জামিন। ১৪ দিন জেল হেফাজতেই থাকতে হবে রিয়া চক্রবর্তীকে। মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতেই সংশোধনাগারে পাঠানো হলো রিয়াকে। এদিন মুম্বাইয়ের সিওন হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয় রিয়ার। কোভিড পরীক্ষা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয় তার। কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরই এনসিবি কর্তারা রিয়াকে নিয়ে ফিরে আসেন তাদের দফতরে। সঙ্গে ছিল মুম্বাই পুলিশও।
এরপর ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স হয়। এনসিবির তরফে রিয়ার ১৪ দিনের জন্য বিচারবিভাগীয় হেফাজতের দাবি করা হয়েছিল। তা মঞ্জুর হয়েছে। আগামীকাল আদালতে রিয়ার জামিনের আবেদন করবেন আইনজীবীরা। এনসিবি সূত্রে ডেপুটি ডিজি মুক্তা অশোক জৈন জানিয়েছেন, তারা রিয়ার কাছ থেকে যা তথ্য পেয়েছেন তাই যথেষ্ঠ। এখনই কোনও রকম কাস্টডি চান না তারা। রিয়াকে টানা তিনদিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আর সেখানেই রিয়া যে তথ্য দিয়েছেন গ্রেফতারের জন্য তা যথেষ্ঠ।
তিনি আরও জানান, রিয়া নিয়মিত সুশান্তের জন্য ড্রাগ কিনতেন। আর সেই টাকা যেত সুশান্তের অ্যাকাউন্ট থেকেই। তার প্রমাণও মিলেছে। এদিন যে তিনি গ্রেফতার হতে পারেন তার আঁচ আগেই পেয়েছিলেন রিয়া। নিজের আবাসন থেকে সকালেই রওনা দেন এনসিবির দফতরে। মঙ্গলবার দুপুরে তার গ্রেফতারির খবর পাওয়া যায়।
এনডিপিএস আইনের আওতায় ৮ (সি), ২০ (বি), ২৭ (এ), ২৮, এবং ২৯ নম্বর ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে রিয়া চক্রবর্তীকে। রিয়ার বিরুদ্ধে এনসিবির তরফে যে ধারাগুলি এনডিপিএন আইনের আওতায় আনা হয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখ্য ২৭ (এ) ধারা অর্থাৎ অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ, যা প্রমাণ হলে কমপক্ষে ১০ বছরের সাজা হবে রিয়ার। রিয়া চক্রবর্তীর ভাই শৌভিকসহ বাকিরা রয়েছে নার্কো দফতরের হেফাজতেই। আগামীকাল পর্যন্ত সেখানেই থাকবেন তারা।
বাংলার প্রবাহ/এস এম হক