রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে জার্মানির জ্বালানি সংকট নিরসনে এবার এগিয়ে এসেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির সঙ্গে নতুন এক চুক্তিতে সই করেছেন জার্মান চ্যান্সেল ওলাফ শলজ। এর মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ শিল্পকারখানায় প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া হয়।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নানামুখী সংকটের মধ্যেই গত ২৪ সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রাচ্য সফরে যান জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলজ। উদ্দেশ্য জার্মানির জ্বালানি খাতের ইতিহাস থেকে রাশিয়ার নাম মুছে ফেলে অন্য দেশ থেকে জ্বালানি আমদানির সম্ভাব্যতা যাচাই করা। সফরে কিছুটা হলেও মনোবাসনা পূরণ হচ্ছে জার্মান চ্যান্সেলরের।
সৌদি আরব সফরের পরদিনই রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে চলমান জ্বালানি সংকট ছাড়াও দুই দেশের পারস্পরিক নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলজ। পরে, দুই দেশের মধ্যে নতুন এক জ্বালানি চুক্তিতে সই করেন দুই নেতা। নতুন এ চুক্তিতে দেশ দুটির মধ্যে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও শিল্পকারখানায় প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া হয়।
দুই নেতার বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, জ্বালানি নিরাপত্তা ইস্যু, বিশ্বে কার্বন নিঃসরণ কমানো ও জলবায়ু পদক্ষেপসহ পারস্পরিক নানা বিষয়ে সহযোগিতা নিয়ে দুই দেশের মধ্য ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
এ ছাড়া এদিন জার্মান জ্বালানি সংস্থা আরডব্লিউইর কাছে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস এলএনজি সরবরাহে অপর এক চুক্তিতে সই করে আবুধাবি ন্যাশনাল ওয়েল কোম্পানি। চুক্তি অনুযায়ী, ২০২২ সালের শেষ নাগাদ আরব আমিরাতের কোম্পানিটি এলএনজির প্রথম চালান সরবরাহ শুরু করবে। সবকিছু ঠিক থাকলে জার্মানির হামবুর্গের ব্রুন্সবুইটেল বন্দরে নির্মিত এলএনজি টার্মিনালে যুক্ত হবে আমিরাত থেকে সরবরাহ করা এ গ্যাস।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চলমান বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের মধ্যেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে জার্মানির এ চুক্তি আগামী শীত মৌসুমের আগে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে জার্মানবাসীকে।