কক্সবাজারের টেকনাফে ফিশিং ট্রলারের ধাক্কায় সেন্টমার্টিনগামী স্পিডবোট ডুবিতে রশিদা বেগম (৬০) ও মেহেরুন্নেসা (৭৫) নামের দু’জন নারীর মৃত্যু হয়েছে।
নিখোঁজ রয়েছে সেন্টমার্টিন পশ্চিমপাড়া মোহাম্মদ আয়াসের শিশু কন্যা সুমাইয়া আক্তার।
এ ঘটনায় জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে আর ও আটজনকে।
নিহত রশিদা সেন্টমার্টিনের পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা আব্দুল গফুরের স্ত্রী ও নিহত মেহেরুন্নেসা একই এলাকার আব্দুল জলিলের স্ত্রী।
মঙ্গলবার বিকালে নাফ নদীর কায়ুকখালি খালের মুখে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
উদ্ধার হওয়া ৮ জন হলেন- বেগম বাহার, মোহাম্মদ আমিন, তার মেয়ে শিশুকন্যা জোহেরা আক্তার, আল নোমান, মোহাম্মদ আরিফ, মোহাম্মদ আনিস, মোহাম্মদ আফছার ও স্পিডবোট চালক মোহাম্মদ কায়সার।
সেন্টমার্টিন ইউপি চেয়ারম্যান নূর আহমদ বলেন, মঙ্গলবার বিকালে টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালি ফিশারি ঘাট থেকে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ১১ জন যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় স্পিডবোটটি। এই সময় সাগর থেকে মাছ শিকার শেষে টেকনাফে ফেরার পথে একটি ফিশিং ট্রলার কায়ুকখালি খালের মুখে নাফ নদীতে সেন্টমার্টিনগামী স্পীিডবোটকে ধাক্কা দিলে সেটি উল্টে যায়। এসময় স্থানীয় লোকজন ও অপরাপর জেলেরা মিলে মুমূর্ষু অবস্থায় ১০ জনকে জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও পাঁচ বছর বয়সী সুমাইয়া আক্তার নামে এক শিশু কন্যা নিখোঁজ রয়েছে।
আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও অন্যান্য ক্লিনিক নেওয়া হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আহনাফ চৌধুরী ও মেরিন সিটি হাসপাতালে ব্যবস্থাপক নুরুজ্জামান বলেন, স্পিডবোট ডুবিতে রশিদা বেগম ও মেহেরুন্নেসা নামে দুজন নারীর মৃত্যু হয়েছে। বেগম বাহার নামে আরও একজন নারীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
টেকনাফ নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে নৌ-পুলিশ, থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারীরা ঘটনাস্থলে আসার আগে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মুমূর্ষু অবস্থায় নারী, শিশু, পুরুষসহ ১০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সুমাইয়া নামে এক শিশুকন্যা এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা (তদন্ত) কর্মকর্তা এবিএমএস দোহা বলেন, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।