নির্বাচনে পরাজয়ের কথা স্বীকার করেননি ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো। তিনি তার সমর্থকদের ভোট নিয়ে বিক্ষোভকে ‘ক্ষোভ ও অবিচারের অনুভূতির’ ফল বলে উল্লেখ করেছেন।
তিনি নির্বাচনের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করা বন্ধ করে দিয়েছেন এবং তার চিফ অফ স্টাফ সিরো নোগুইরাকে বামপন্থী প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার প্রতিনিধিদের সাথে হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু করার অনুমতি দিয়েছেন।
তার নীরবতার মধ্যেই, সমর্থকরা তার পরাজয়ের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে। কেউ কেউ প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি লুলাকে ক্ষমতায় ফিরে আসতে বাধা দেয়ার জন্য একটি সামরিক অভ্যুত্থানের আহ্বান জানায়।
ব্যবসায়ী গোষ্ঠীগুলো বলছে, মহাসড়ক অবরোধের ফলে জ্বালানি বিতরণ, সুপারমার্কেট সরবরাহ এবং প্রধান বন্দরগুলিতে শস্য রফতানির প্রবাহ ব্যাহত হয়েছে।
বোলসোনারো বলেন, বর্তমান এই ব্যাপক আন্দোলন, নির্বাচনী প্রক্রিয়া যেভাবে সংঘটিত হয়েছে সেগুলো ক্ষোভ ও অবিচারের অনুভূতির ফল। তিনি বিক্ষোভকারীদের মানুষের চলাচলে বাধা না দিয়ে আর জাতীয় সম্পদ নষ্ট না করে বাড়ি ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান।
সাও পাওলোর বাইরে রাজপথের বিক্ষোভে অংশ নেয়া ৩৪ বছর বয়সী কারিনা লৌরিন্ডা বলেন, তাদের শান্ত থাকার অনুরোধ করা হলেও তিনি প্রতিবাদ চালিয়ে যাবেন। তিনি কিছুতেই লুলাকে গ্রহণ করবেন না বলে মন্তব্য করেন।
বোলসোনারোর চিফ অব স্টাফ এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যামিল্টন মৌরাও, লুলা ক্যাম্পের সাথে আলোচনার জন্য যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন। কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের স্পিকারসহ অন্য মিত্ররা রোববার থেকে বোলসোনারো সরকারকে নির্বাচনের ফলাফল সম্মান করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, তারা মনে করে যে, সরকার পরিবর্তনের অনুমোদন দিয়ে বোলসোনারো নির্বাচনের ফলাফলকেই স্বীকৃতি দিচ্ছেন।
দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ১৯ মাস কারাগারে কাটানো লুলার বিজয় ৭৭ বছর বয়সী সাবেক এই শ্রমিকের জন্য একটি চমকপ্রদ প্রত্যাবর্তনের প্রতিনিধিত্বই করে।
লুলা, বোলসোনারোর অনেক নীতি বাতিল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছে বন্দুক-পন্থী ব্যবস্থা এবং আমাজন রেইনফরেস্টের দুর্বল সুরক্ষা। তার সহযোগীরা মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি এই মাসে মিশরে অনুষ্ঠিতব্য কপ-২৭ জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দেবেন।
সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা