বাংলার প্রবাহ রিপোর্ট: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নারায়ণগঞ্জের মসজিদের ঘটনাটা কেন ঘটল সেই বিষয়ে তদন্ত চলছে। নিশ্চয়ই সেটা বের হবে। আজ জাতীয় সংসদে শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা এলাকার বাইতুস সালাত জামে মসজিদে এসি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সর্বশেষ ২৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
ওই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে যে ঘটনাটা ঘটেছে, মসজিদে যে বিস্ফোরণ ঘটল এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞরা সেখানে গেছেন। সেখানে নমুনা সংগ্রহ করছেন। এই ঘটনাটা কেন ঘটল, কীভাবে ঘটল সে বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে এবং আমি মনে করি, সেটা অবশ্যই বের হবে।’
তিনি বলেন, ‘যখনই এ ধরনের ঘটনা ঘটে আমার সঙ্গে কিন্তু সবসময় আমাদের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল মেসেজ পাঠিয়েছে। প্রতিমুহূর্তে সকালে, বিকেলে মেসেজ পাঠাচ্ছে এবং রোগীদের অবস্থা জানাচ্ছে। অনেকে মারা গেছেন। বাকি যারা তাদের পোড়ার অবস্থা এত খারাপ তারপরও চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাদের সব ধরনের চিকিৎসা আমরা দিচ্ছি। এখন আল্লাহ যদি এদের জীবনটা দিয়ে যান।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে মসজিদে নামাজ পড়া অবস্থায় এ ধরনের একটা বিস্ফোরণ। ওইটুকু একটা জায়গায় ছয়টা এসি লাগানো আবার গ্যাসের লাইনের ওপর নাকি এই মসজিদটি নির্মাণ! সাধারণত যেখানেই গ্যাসের পাইপ লাইন থাকে সেখানে কোনো নির্মাণ কাজ হয় না। আমি জানি না, রাজউক কি এটার পারমিশন দিয়েছে কি-না। এটা পারমিশন তো দিতে পারে না, দেয়া উচিত না।’
তিনি বলেন, ‘মসজিদে সবাই দান করে, আজকাল তো সকলের পয়সা আছে, এয়ারকন্ডিশন দিয়েছে। সেখানে এই যে বিদ্যুৎ সরবরাহটা, বিদ্যুৎ কতটা নিতে পারবে? সেটার ক্যাপাসিটি ছিল কি-না, সার্কিট ব্রেকার ছিল কি-না-এসব বিষয়গুলো কিন্তু দেখতে হবে। অপরিকল্পিতভাবে কিছু করতে গেলে তার একটা দুর্ঘটনা অবশ্যই ঘটতে পারে।’
ক্যাবিনেট সেক্রেটারিকে এ বিষয়ে বলা হয়েছে এবং নির্দেশ গেছে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমাদের বিদ্যুৎ এবং গ্যাস সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দিয়েছি এর কারণটা খুঁজে বের করার। সারা বাংলাদেশে মসজিদগুলোতে যারা অপরিকল্পিতভাবে, ইচ্ছামতো এয়ারকন্ডিশন লাগাচ্ছেন বা যেখানে সেখানে একটা মসজিদ গড়ে তুলছেন, সে জায়গাটা আ-দৌ একটা স্থাপনা করবার মতো জায়গা কি-না, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেয়া বা সেখানে নকশাগুলো করা হয়েছে কি-না, সেই বিষয়গুলো কিন্তু দেখা একান্ত প্রয়োজন। নইলে এ ধরনের ঘটনা দুর্ঘটনা যেকোনো সময় ঘটতে পারে।’
বাংলার প্রবাহ/এস এম হক