পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়নের কারিগর এবং উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের রূপকার। তিনি বাঙালি জাতিকে নতুন এক আশা দেখিয়েছেন- বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার। বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘে সর্বপ্রথম বাংলায় ভাষণ দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা বিশ্বের একমাত্র রাষ্ট্রপ্রধান যিনি জাতিসংঘে ১৯ বার বাংলায় ভাষণ দিয়ে বিশ্বে এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বহির্বিশ্বে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকালে এবং যুক্তরাষ্ট্র সময় বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের জ্যাকসন হাইটসের একটি মিলনায়তনে যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিকলীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।এনামুল হক শামীম বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ ও বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের বিচারসহ জাতীয় জীবনের বহু ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে শেখ হাসিনার হাত ধরেই। এখন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে এসে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সামনে বাংলাদেশের উদাহরণ তুলে ধরে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন কীভাবে করতে হয় তা বাংলাদেশ থেকে শিখতে পরামর্শ দেন। তার কারণেই বাংলাদেশ এক অনন্য মর্যাদায় আসীন।
আওয়ামী লীগের সাবেক এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আজ একটি ব্র্যান্ডের নাম। তিনি নিজেই একটি ইতিহাস। তিনি দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে উঠে এসেছেন। দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বনেতার কাতারে পৌঁছেছেন। তাইতো বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্ব বিশ্বে প্রশংসিত। তিনি ক্ষমতায় আছেন বলেই দেশের মানুষ ভালো আছে। তাঁর সাহসী নেতৃত্বের কারণেই বাংলায় আজ সোনালি আকাশ। দারিদ্র্য বিমোচনে বিশ্বের রোল মডেল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু কমিশনের অধীনেই হবে এবং সেই নির্বাচনে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হবেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, প্রায় এক কোটি বাংলাদেশি প্রবাসে কর্মরত রয়েছে। দেশের অগ্রগতিতে প্রবাসীদের অবদান অনস্বীকার্য। তাদের অবদান খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। প্রবাসীরা হচ্ছেন বিদেশে দেশের দূত। করোনার সময় দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা রাখতে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন তারা। আর জননেত্রী শেখ হাসিনা হচ্ছেন প্রবাসীবান্ধব সরকার প্রধান। আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর অনেক লোক বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন এবং হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতির ভীতকে মজবুত করে বৈদেশিক রিজার্ভকে সমৃদ্ধ করে চলেছেন। এমনকি করোনার মধ্যে প্রবাসীদের পাঠানো আয় বাংলাদেশের অর্থনীতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে বিরাট ভূমিকা পালন করছে।
যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিকলীগের সভাপতি আজিজুল হক খোকনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি এমপি, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদসহ আরও অনেকে।