বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের পাশাপাশি জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) কাছ থেকেও বাজেট সহায়তার অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ। ৬০ কোটি ডলারের এ অর্থ সহায়তার বিষয়ে আশাবাদী সরকার।
চলতি অর্থবছরেই এ সহায়তা দিতে পারবে কি না, তার নিশ্চয়তা দিতে পারছে না জাপান। তবে বাংলাদেশের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গেই দেখা হচ্ছে বলে জানান ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে এখন নতুন বৈশ্বিক পরিস্থিতি। অর্থনীতির চলমান এ অবস্থায় উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে থেকে ঋণসহায়তা চেয়ে আসছে বাংলাদেশ। বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনায় আছে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের কাছ থেকে চাওয়া ৫৫০ কোটি ডলারের ঋণ। এর মাঝে জাইকার কাছেও বাজেট সহায়তার আবেদন করেছে সরকার।
এ বছর ২৫ জুলাই জাইকার প্রেসিডেন্ট আকিহিকো তানাকার সঙ্গে সাক্ষাতে আবার ৬০ কোটি ডলারের সহায়তার আবেদন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। গত ২৬ সেপ্টেম্বর জাইকার নতুন ও বিদায়ী বাংলাদেশ প্রতিনিধির সঙ্গে আলাপেও একই আবেদন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। তাতে ইতিবাচক সাড়া মেলারও আশা করেন তিনি।
কোভিড-১৯ মহামারির পর বাংলাদেশকে সবশেষ দুই অর্থবছরে সাড়ে ৬৮ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা দিয়েছে জাপান। তবে এ অর্থবছরে সহায়তার বিষয়ে এখনই নিশ্চয়তা দিতে পারছে না দেশটি। যদিও বৈশ্বিক সংকটে বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে জাপান অবগত আছে বলে জানান ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত।
জাপান রাষ্ট্রদূত বলেন, অর্থনীতির সংকটময় পরিস্থিতিতে জাইকাসহ কয়েকটি দাতা সংস্থার কাছে বাজেট সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ; দেশটির প্রয়োজনীয়তা আমরা বিবেচনায় রেখেছি। তবে এ অর্থবছরে আমরা সহায়তা করতে পারব কি না, সেই বিষয়ে এখনো আমরা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারিনি। যদিও দেশটির পরিস্থিতি আমরা অবগত আছি।
পরীক্ষিত বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে জাপান সবসময় প্রাধান্য দেয় বলে জানান জাপান রাষ্ট্রদূত।