ভারতীয় বিনোদন জগতে বার বারই কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন তারকারা-এমন প্রশ্ন এখন সবার মনেই ঘুরপাক খাচ্ছে। মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানেই এত আত্মহত্যা নতুনভাবে ভাবিয়ে তুলতে বাধ্য করছে। সর্বশেষ রোববার (১৬ অক্টোবর) বৈশালী ঠক্করের আত্মহত্যা এ বিষয়টিকে আবারও ভাবিয়ে তুলছে সুধী মহলকে।
বৈশালীর মৃত্যুর আগে সংবাদের শিরোনাম হয়েছিলেন পল্লবী দে, বিদিশা দে মজুমদার, মঞ্জুষা নিয়োগী, সুশান্ত রাজপুতসহ অনেক তারকাই। এদের সবারই যে বিষয়ে মিল রয়েছে তা হলো সবাই বিনোদন জগতের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন।
তবে পেশাই কি আত্মহত্যার কারণ? তারকাদের জীবন সাধারণ মানুষের জীবন থেকে বেশ আলাদা হয়ে থাকে। রঙিন এই দুনিয়ায় হাঁটতে পারার আনন্দের সঙ্গে মিশে রয়েছে চরম হতাশাও।
সেই সঙ্গে তাদের মানসিক চাপতো রয়েছেই। মনোবিদরা বলছেন, অভিনয় জগতের সঙ্গে যারা কাজ করে তারা পেশাগত কারণেই অনেকটা বেশি আবেগী হয়ে থাকেন। যার কারণে কোনো সমস্যায় পড়লে তারকারা তা থেকে বেরিয়ে আসার মানসিক শক্তি হারিয়ে ফেলেন। হতাশা চরমভাবে তাকে ঘিরে ধরলেই বেছে নেন আত্মহত্যার পথ।
তবে তার মানে এই নয়, আত্মহত্যার সঙ্গে নির্দিষ্ট পেশার কোনও সম্পর্ক আছে। এ বিষয়ে ভারতের মনোবিদ অনুত্তমা বন্দোপাধ্যায় বলেন, সব পেশারই কিছু নিজস্ব চাপ থাকে। তাছাড়া প্রতিটি আত্মহত্যার আখ্যান, তার গড়ে ওঠার কাহিনি, তার কার্যকারণ ভিন্ন এবং সেটি সেই ব্যক্তির নিজস্ব যাপন ইতিহাসের মধ্যে নিহিত থাকে।
এ সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার পথ হিসেবে তিনি বলেন, সচল সুইসাইড হেল্পলাইন নম্বরের পাশাপাশি তা সার্বক্ষণিক সচল থাকার ব্যবস্থা থাকতে হবে। এ ছাড়া ব্যক্তিজীবনে মন খুলে সব কথা বলা যায় এমন মানুষ বা বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষি খুঁজে পেতে হবে। যাদের আবেগের সুরক্ষা বলয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বিরত থাকবে হতাশাগ্রস্তরা।