দু’চোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে শোবিজে পথ চলা শুরু করেছিলেন নতুন প্রজন্মের মডেল ও অভিনেত্রী লরেন মেন্ডেস। কিন্তু পরিবারের সঙ্গে অ’ভিমান করে গত ৩০ আগস্ট আ’ত্মহ’ত্যর পথ বেছে নিয়েছেন এই অবিনেত্রী। তার আ’ত্মহ’ত্যার খবর শোবিজে বি’ষাদ নামিয়ে এনেছে।
এদিকে এই ঘটনায় লরেনের বাবা ব্লিন মেন্ডেস গুলশান থানায় এক অ’পমৃ’ত্যুর মামলা করেন। মামলার অ’ভিযোগে মেন্ডেসের বাবা উল্লেখ করেন, আমার মেয়েটা ছিল অনেক স্বাধীনচেতা। বাইরে থাকতে চাইত বেশি। কাউকে কিছু না বলেই বাইরে চলে যেত। আমরা চাইতাম এভাবে যখন-তখন বাইরে না যাক। মাঝেমধ্যে আমরা তাকে বা’ধা দিতাম। শা’সন করার কারণে তার মেয়ে আ’ত্মহ’ত্যা করেছে। আমরা তার ভালোর জন্য কিছুটা শা’সন করতাম। সে আমাদের কথা বুঝতে পারল না।
গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা একটি অ’পমৃ’ত্যুর মামলা নিয়েছি। সেখানে তার বাবা লিখিত অ’ভিযোগ দিয়েছেন। সেটা আমরা থানায় রেকর্ড করেছি।
অ’ভিযোগের বিষয়ে আমিনুল ইসলাম বলেন, গত ২৯ তারিখ বিকেলে লরেন কাউকে কিছু না জানিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যান। ৩০ তারিখ ভোর ৫টায় বাসায় ফেরেন। বাবা-মা সারা রাত বাইরে থাকার কারণ জানতে চাইলে লরেন বলেন, প্রয়োজনে বাইরে ছিলাম। পরে মেয়েকে ব’কাঝকা দেয়ায় নিজের ঘরে গিয়ে আলো নিভিয়ে দেয়। পরে ভোর সাড়ে ৭টায় গলায় ওড়না পেঁ’চানো অবস্থায় তাকে ফ্যানের সঙ্গে ঝু’লন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
এদিকে লা’র ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার (৩১ আগস্ট) বেলা তিনটার দিকে তার পরিবারের কাছে ম’রদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। এই সময় উপস্থিত ছিলেন লরেন মেন্ডেসের বাবা এবং মামা। পরিবারের শো’ক কিছুটা কমলে আবারও তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে পু’লিশের তদন্ত দল।
প্রসঙ্গ, ‘ইন্টারনেট শেষ হলেও, নো টেনশন’ এয়ারটেলের বিজ্ঞাপনে ব্যবহৃত এই সংলাপটি দিয়ে আলোচনায় আসেন লরেন। তার পুরো নাম লরেন মেন্ডেস, ধর্মে খ্রিষ্টান। ক্যারিয়ার শুরু করেন মডেলিং দিয়ে। তবে পরিচিতিটা পান এয়ারটেলের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে।