বাংলার প্রবাহ রিপোর্ট: তিন মাস ধরে চীন সীমান্তে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ভারত ও চীনের সেনাবাহিনী। আর সেখান থেকেই এল ‘ফায়ারিং-এর খবর। সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে সেই খবর এসে পৌঁছেছে। ইস্টার্ন লাদাখের ওই বিশেষ অঞ্চলে ফায়ারিং চলেছে বলে ভারতীয় মিডিয়া জানিয়েছে। খবর কলকাতা টোয়েন্টিফোরের।
‘ইন্ডিয়া টুডে’-তে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে যে ফায়ারিং-এর ঘটনা ঘটেছে সীমান্তে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে জানিয়েছে ওই সূত্র। তবে ওয়ার্নিং শট বলে জানা দাবি করা হয়েছে। অর্থাৎ দুই পক্ষ একে অপরতে ওয়ার্নিং দিতে গুলি চালিয়েছে বলে খবর।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর এদিন লাদাখের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সোমবার তিনি বলেন, এপ্রিল মাস থেকে একে অপরের চোখে চোখ রেখে দাঁড়িয়ে আছে ভারত ও চীনের সেনাবাহিনী। পরিস্থিতি খুবই সিরিয়াল ছিল। দুই পক্ষের রাজনৈতিক স্তরে গভীর আলোচনার প্রয়োজনও বোধ করছেন তিনি।
সাংহাই কো অপারেশন অর্গানাইজেশনে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মুখোমুখি হলে তিনি কী বলবেন, তা জানতে চাওয়া হলে জয়শঙ্কর বলেন, তিনি গত ৩০ বছরের কথা মনে করিয়ে দেবেন। শান্তি বজায় থাকায় কীভাবে সম্পর্ক দৃঢ় হয়েছে, সেটাই বলবেন তিনি।
যুদ্ধ বিশেষজ্ঞদের মতে, তাদের দাবি পটভূমিকা বা যুদ্ধের ক্ষেত্র প্রস্তুত হচ্ছে ধীরে ধীরে। গত ৪৫ বছরে একাধিক মৌখিক বা লিখিত চুক্তির মাধ্যমে যে স্থিতাবস্থা নিয়ে এসেছে ভারত চীন, তা এক মুহুর্তে ভাঙতে পারে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডি এস হুডা জানাচ্ছেন এই মুহুর্তে পরিস্থিতি বিপজ্জনক হচ্ছে। যে কোনও সময়ে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে।
ভারত কতটা প্রস্তুত যুদ্ধের পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে? এই প্রশ্নের উত্তরে সেনাপ্রধান জানিয়েছেন জওয়ানরা উদ্বুদ্ধ, তৈরি। কিন্তু মস্কোতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের পরেও সুর নরম করেনি চীন। শনিবার চীন জানিয়েছে ভারত ও চীন, দু’জনেই পরমাণু শক্তিধর দেশ। কিন্তু যুদ্ধ হলে চীনের কাছে পরাস্ত হওয়া ছাড়া ভারতের সামনে আর কোনও রাস্তা নেই।
বাংলার প্রবাহ/এস এম হক