মিয়ানমারে চলতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ জান্তা সেনাকে হত্যার দাবি করেছে পিপল’স ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ)। গত দুদিনে এক মেজরসহ ৩৭ সেনা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ইরাবতি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কয়েক মাস ধরে রাখাইন, সাগাইন, মান্দালয়, কারেনসহ মিয়ানমারের বেশ কয়েকটি রাজ্যে সশস্ত্র বিদ্রোহীদের দমনে ব্যাপক আকারে সামরিক অভিযান শুরু করে জান্তা বাহিনী। যার প্রভাব এসে পড়ে বাংলাদেশেও। চলমান অভিযানে বহু বিদ্রোহী নিহত হয়েছে বলে দাবি করে সামরিক বাহিনী।
তবে সশস্ত্রগোষ্ঠীর তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়েছে জান্তা বাহিনীও। গত কয়েকদিনে পিডিএফসহ বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হামলায় প্রায় ১০০ সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে সংবাদমাধ্যম ইরাবতি। এর মধ্যে শুধু সাগাইন অঞ্চলে হামলায় নিহত হয়েছে অন্তত ১০ সেনা।
এদিকে শান রাজ্যে চলমান অভিযানের মুখে জীবন বাঁচাতে পালাচ্ছে মানুষ। গত কয়েকদিনে রাজ্যটি থেকে ১০ হাজারের বেশি মানুষ পালিয়ে গেছে। সংবাদমাধ্যম জানায়, কয়েক মাস ধরেই বিদ্রোহী গোষ্ঠী কেএনডিএফকে দমন করতে অভিযান চালাচ্ছে জান্তা সরকার।
এর মধ্যে, আগামী মাসে কম্বোডিয়াতে শুরু হতে যাওয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জোট আসিয়ান সম্মেলনে অংশ নিতে পারবেন না মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অং সান সু চিকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখলে নেয় মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এরপর থেকেই দেশটিতে শুরু হয় চরম অস্থিরতা। সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হলে তাদের দমনে কঠোর পদক্ষেপ নেয় জান্তাপ্রধান। চলমান আন্দোলনে সামরিক বাহিনীর হাতে ২ হাজারের বেশি বেসামরিক লোক নিহত হন। গ্রেফতার হন রাজনীতিক, সাংবাদিক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ। শুরু হয় সশস্ত্র বিদ্রোহ।