রাশিয়ার সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভয়াবহ হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত এবং ১৫ জন আহত হয়েছেন। একে সন্ত্রাসী হামলা আখ্যা দিয়ে পাল্টা প্রতিশোধের ঘোষণা দিয়েছে মস্কো। একই দিন ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়ায় পাল্টা হামলা চালায় রুশ বাহিনী। এর মধ্যেই সোমবার (১৭ অক্টোবর) থেকে সামরিক মহড়া শুরু করতে যাচ্ছে ন্যাটো। পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে বেলারুশে সেনা পাঠিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) ইউক্রেনের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ শহর জাপোরিঝিয়ার বাসিন্দাদের ঘুম ভাঙে বিকট শব্দে। এদিন রুশ সেনাদের চালানো একাধিক হামলায় লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে শহরটির একটি পার্কি লট। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বহু যানবাহন। পাশাপাশি ধসে পড়ে ঘরবাড়িসহ নানা স্থাপনা। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ হামলার জন্য রুশ সেনাদের দায়ী করেছেন ইউক্রেনের বাসিন্দারা।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘ভোর ৫টা বেজে ১৫ মিনিটের দিকে একাধিক শব্দ হয়। তারপরই আমরা বাইরে বের হয়ে আসি। বিস্ফোরণের ১৫ মিনিট পর চারদিক একেবারে নিস্তব্ধ হয়ে যায়। পরে দেখি পার্কিং লটে হামলা চালানো হয়েছে।’
এরই মধ্যে রাশিয়ার একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভয়াবহ হামলার খবর পাওয়া গেছে। এতে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। একে সন্ত্রাসী হামলা আখ্যা দিয়ে পাল্টা ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে মস্কো। যদিও এ হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি কিয়েভ। একই এলাকার একটি জ্বালানি ডিপোতেও ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে।
চলমান ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যই বেলজিয়াম, উত্তর সাগর এবং ব্রিটেনের আকাশসীমায় ব্যাপক আকারে সামরিক মহড়া শুরু করতে যাচ্ছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। তবে এতে কোনো পারমাণবিক তাজা বোমা ব্যবহার করা হবে না বলে নিশ্চিত করেছে জোটটি। আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে অনুশীলন।
ন্যাটোর এমন ঘোষণায় ব্যাপক চটেছে রাশিয়া। পাল্টা জবাবে বেলারুশের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যৌথ বাহিনী গঠনের অংশ হিসেবে রুশ সেনাদের প্রথম বহর পাঠিয়েছেন পুতিন। বেলারুশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সীমান্তের সুরক্ষা এবং প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করাই যৌথ বাহিনীর প্রধান লক্ষ্য।