রাজধানী কিয়েভ ও অন্যান্য শহরে রাশিয়ার ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ইউক্রেন। কয়েক মাসের মধ্যে সোমবার ইউক্রেনে ভয়াবহ এই হামলা চালায় রাশিয়া। এতে কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও শতাধিক।
রাশিয়ার এই ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নিয়ে চলছে ব্যাপক উত্তেজনা। এরই নজিরবিহীন এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা নিয়ে ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো।এদিকে, উত্তেজনা বাড়িয়ে আগামী সপ্তাহে বার্ষিক পরমাণু মহড়া চালানোর ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো।
জোটের মহাসচিব ইয়েন্স স্টোলটেনবার্গ মঙ্গলবার ব্রাসেলসে এ ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, ৩০ সদস্যবিশিষ্ট ন্যাটোর ১৪টি দেশ ‘স্টিডফাস্ট নুন’ নামের এ মহড়ায় অংশ নেবে।
স্টোলটেনবার্গ বলেন, “এ মহড়ার মাধ্যমে আমরা একথার জানান দিতে চাই যে, আমাদের রমাণু অস্ত্র নিরাপদ, সুরক্ষিত ও কার্যকর রয়েছে।”
ন্যাটো জোট এ মহড়ায় ইউরোপে মোতায়েন মার্কিন পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবে। মহড়ার মূল অংশ চালানো হবে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে এক হাজার কিলোমিটারেরও বেশি দূরে। ন্যাটো মহাসচিব বলেন, “আমরা যদি একটি নিয়মিত ও দীর্ঘদিন আগের পরিকল্পিত মহড়া বাতিল করে দিই তাহলে ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের কারণে অনেকের কাছে ভুল বার্তা যাবে।”
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ চালাচ্ছে রাশিয়া। ইউক্রেনের ন্যাটো জোটে অন্তর্ভুক্তি ঠেকাতেই মূলত সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশটিতে এই সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। পশ্চিমা দেশগুলো সরাসরি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে না জড়ালেও কিয়েভকে বিপুল পরিমাণ সমরাস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে যাচ্ছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্প্রতি ইউক্রেন যুদ্ধে যেকোনও ধরনের অস্ত্র প্রয়োগ করার হুমকি দিয়েছেন। তার হুমকিতে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের পরোক্ষ ইঙ্গিত থাকায় ন্যাটো মহাসচিব স্টোলটেনবার্গ মঙ্গলবারের বক্তৃতায় পুতিনের কঠোর সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, রুশ প্রেসিডেন্টের বক্তব্য ‘বিপজ্জনক ও বেপরোয়া’ ইঙ্গিত দেয় এবং মস্কো যদি কোনওভাবে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করে তাহলে তাকে ‘বিপর্যয়কর পরিণতি’ ভোগ করতে হবে।