ইউক্রেনে আর বড় কোনো হামলার পরিকল্পনা নেই রাশিয়ার। তবে যুদ্ধের জন্য কোনো অনুশোচনাও নেই মস্কোর। কাজাখস্তানে এক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে ন্যাটোর সঙ্গে রাশিয়ার যে কোনো প্রত্যক্ষ সংঘর্ষ ‘বৈশ্বিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
দফায় দফায় রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিধ্বস্ত ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় জাপোরিঝিয়া শহর। পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে বাড়িঘরসহ আবাসিক বিভিন্ন স্থাপনা। গোলাবর্ষণ অব্যাহত আছে পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক, দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসনসহ বাখমুত ও নিকোলায়েভ শহরেও।
তবে ইউক্রেনকে ধ্বংস করা রাশিয়ার লক্ষ্য নয় উল্লেখ করে এবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানালেন, ইউক্রেনে আর কোনো বড় হামলা চালাবে না রাশিয়া। তবে কিয়েভ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখলে কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনীয় খাদ্যশস্য রফতানির মানবিক করিডোর বন্ধ করে দেবে মস্কো। কাজাখস্তানে ‘কনফারেন্স অন ইন্টারঅ্যাকশন অ্যান্ড কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজরস ইন এশিয়া’র এক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন পুতিন।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ন্যাটোর সঙ্গে রাশিয়ার যে কোনো প্রত্যক্ষ সংঘর্ষ ‘বৈশ্বিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে। বড় হামলা চালানোর আর প্রয়োজন দেখছি না। ইউক্রেনে যে অভিযান চালানো হয়েছে, তা পরিকল্পনা অনুযায়ী চলছে। এ বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এখন কোনো সমঝোতার কারণ দেখি না।
সম্মেলনে নর্ড স্ট্রিম-২ পাইপলাইন ইস্যুতে ন্যাটোকে গুরুত্ব দিয়ে জার্মানি ভুল করেছে বলেও মন্তব্য করেন পুতিন।
এদিকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আংশিক সেনা সমাবেশের আওতায় ৩ লাখ সেনা নিয়োগ চূড়ান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া ২০২৩ সালের জুলাই মাসের মধ্যে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ক্রিমিয়ার কার্চ সেতু মেরামতকাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে রাশিয়া।
এসবের মধ্যেই মস্কোর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার কথা জানিয়েছে ইউক্রেনীয় সেনারা। রাশিয়ার সীমান্তবর্তী বেলগোরোদ অঞ্চলে ইউক্রেনের গোলা হামলায় একটি অস্ত্রভাণ্ডার ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি তাদের।
এমন পরিস্থিতিতে সমঝোতার মধ্য দিয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে আইএমএফ।