ষষ্ঠী, সপ্তমী ও অষ্টমীর দুয়ার ডিঙিয়ে আজ নবমীতে শারদীয় দুর্গাপূজা। হিসেব অনুযায়ী এদিন পূজার মূল আয়োজন, বিজয়ায় বিসর্জনের আগে দেবী দুর্গার আরাধনায় মগ্ন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
রাঙামাটিতেও তাই উৎসবের রেশ। মণ্ডপে মণ্ডপে ঢল নেমেছে ভক্ত ও অনুরাগীদের। ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হয় দুর্গা পূজার অনুষ্ঠানিকতা। একই সাথে ৩০ অক্টোবর শুরু হয় বাণিজ্য মেলা। বিগত বছরের করোনার ধকল কাটিয়ে মানুষের মধ্যে যেন আনন্দ উৎসবের শেষ নেই। উৎসবের আমেজ উপভোগ করতে দিন রাত ঘুরাঘুরিতে ব্যস্ত সময় পাড় করছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও বাঙালি সম্প্রদায়ের মানুষ।
দুর্গাপূজায় অঞ্জলি দিতে আসা পার্থ সেন জানান, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। এবার দুর্গোৎসবে তাই প্রমাণ হয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি পূজা মণ্ডপগুলোতে ভিড় দেখেছি, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও বাঙালিদেরও। তাদের উপস্থিতিতে পুর্গা পূজার আনন্দ বৃদ্ধি করেছে কয়েকগুণ।
অন্যদিকে জমে উঠেছে রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির উদ্যোগে আয়োজিত মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলাও। প্রতিদিন দিন হাজারো মানুষের পদচারণায় মেলাস্থল উৎসবে পরিণত হয়। এ মেলোয় বসেছে ৩৯টি স্টল। আছে বাচ্চাদের গেম জোন ও নাগরদোলা। এছাড়া তরুণীদের জন্য আছে বাহারি প্রসাধনী সামগ্রী।মেলায় ঘুরতে আসা তরুণী রেনেছা চাকমা জানান, দুইটা বছর করোনার জন্য গৃহবন্দি ছিলাম। পাহাড়ে কোন উৎসব হয়নি। ভাবলেই মন খারাপ লাগে এখনো। কিন্তু সৃষ্টিকর্তার দয়ার পাহাড়বাসী এ বছর উৎসব করতে পারছে। মনে হচ্ছে পৃথিবী থেকে করোনা বিদায় হয়েছে। কিন্তু তবুও স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা এ আনন্দ উপভোগ করছি।
উল্লেখ, এবার রাঙামাটির ১০টি উপজেলা মিলে ৪২ পূজামণ্ডপে শারদীয় দূর্গোৎসব চলছে।
রাঙামাটি পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে রাঙামাটি শহরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কোন রকম বিশৃঙ্খলা মেনে নেওয়া হবে না। পূজা মণ্ডপগুলোতে সিসিটিভি ধারা সার্বক্ষণিক পর্যাবেক্ষণ করা হয়।