ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়া- এ চার অঞ্চলকে রুশ ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত ঘোষণা করে গত শুক্রবার এক চুক্তিতে সই করেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্যদিয়ে ইউক্রেনের চার অঞ্চলের প্রায় ৯০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা রুশ ফেডারেশনে যুক্ত করেন তিনি। রোববার (২ অক্টোবর) এ চুক্তি রুশ ফেডারেশনের সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ উল্লেখ করে এর বৈধতা দিয়েছেন দেশটির সাংবিধানিক আদালত।
এর মধ্যেই রুশ বাহিনীর দখলে থাকা দোনেৎস্কের গুরুত্বপূর্ণ শহর লাইমান পুনরুদ্ধারের কথা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। অঞ্চলটি থেকে রাশিয়া সেনা প্রত্যাহার করেছে বলেও দাবি করা হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের ভিডিওতে লাইমান শহরে ইউক্রেনের পতাকা উড়তে দেখা যায়। এটাকে বড় ধরনের সাফল্য হিসেবে দেখছে কিয়েভ। রাশিয়ার সেনারা শহরটিকে এত দিন রসদ সরবরাহের রুট হিসেবে ব্যবহার করছিল। কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ এ শহরের নিয়ন্ত্রণ হারানোয় রুশ বাহিনী বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে বলে মনে করছে কিয়েভ।
জেলেনস্কি বলেন, ‘লাইমেন থেকে রাশিয়ার সেনারা সরে গেছে। আমি আমাদের সেনা ও যোদ্ধাদের ধন্যবাদ জানাই। ইউক্রেনের জয় হোক।’
রোববার ইউক্রেনের সিকিউরিটি সার্ভিসের স্থানীয় সদর দফতর লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা জানায় রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। ইউক্রেনে মস্কোর নির্বিচারে মানুষ হত্যার সমালোচনা করেছেন ক্যাথলিক খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস।
ইউক্রেনের সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে এক ভাষণে কিয়েভে সহিংসতা ও মৃত্যুর মিছিল বন্ধে প্রথমবারের মতো রুশ প্রেসিডেন্টকে আহ্বান জানান তিনি। একই সঙ্গে, দেশটির চার অঞ্চলকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করার নিন্দা জানিয়ে এ পদক্ষেপ পরমাণু সংঘাতের ঝুঁকি তৈরি করছে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
এদিকে, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে জার্মানির হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে বার্লিনে বিক্ষোভে নামেন কয়েক হাজার মানুষ। বিক্ষোভকারীরা ইউক্রেন ইস্যুতে জার্মান সরকারের নীতির সমালোচনা করে কিয়েভে অবিলম্বে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের পাশাপাশি রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন।