তিনজনের মধ্যে কাভার্ডভ্যান চালক ফেনীর ইয়াসিনের সন্ধান মেলেনি এখনও, যিনি আগুন লাগার পর সেই ঘটনা ফেইসবুকে লাইভ করছিলেন। এক পর্যায়ে ডিপোতে বিস্ফোরণ ঘটে। ইয়াসিনের আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
ফায়ার ফাইটার সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী মরদেহ পাওয়া গেলেও এখনও বুঝে পায়নি তার পরিবার। আর কন্টেইনার ডিপোর শিফট ইনচার্জ শাহাদাত মজুমদারের দাফন সম্পন্ন হয়েছে রোববার।
এই তিনজনের মধ্যে দুজন সন্তানের বাবা এবং পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। পাল্টে গেছে তাদের বাড়ির পরিবেশ, শোকার্ত স্বজনদের প্রবোধ দেওয়া যাচ্ছে না কোনোভাবে। সান্ত্বনা দিতে গিয়ে অশ্রুসজল হয়ে পড়ছেন প্রতিবেশীরা।
ডিপোর আগুন নেভাতে গিয়ে যে ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাদের ৯ জনই ফায়ার সার্ভিসের কর্মী। ফায়ার ফাইটার সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী তাদের একজন।
সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের কর্মী সালাউদ্দিন ফেনী সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের মাছিমপুর গ্রামের মাস্টার আবু ইউসুফের ছেলে। গত এগার বছর ধরে সংসারের হাল ধরে ছিলেন তিনি, সেই সংসারে তিনি রেখে গেলেন বাবা, মা, স্ত্রী এবং চার ও দুই বছরের দুই শিশু সন্তানকে।
শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডের ওই ডিপোতে আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসের যে সদস্যরা প্রথমে ছুটে গিয়েছিলেন, ৩৭ বছর বয়সী সালাউদ্দিন তাদের একজন।