সুশান্তের মৃত্যুর আগে অভিনেতার সঙ্গে যারা ছিলেন, তাদের জেরা করেছে সিবিআই। আর সেই জেরায় উঠে এসেছে, এই অভিনেতার মৃত্যুর আগে ঠিক কী কী হয়েছিল।
সুশান্ত সিং রাজপুতের যেদিন মৃত্যু হয় সেদিন তার সঙ্গে ছিলেন তার বন্ধু সিদ্ধার্থ পিটানি এবং তার গৃহকর্মী নীরাজ, কেশব ও দিপেশ। তাই তাদেরকে এই মামলার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সেটা জানতে চাইছে সিবিআই।
সেদিন সকালে সুশান্ত তার পোষ্য কুকুরকে নিয়ে বের হয়েছিল নীরাজ। ফেরার পথে সুশান্ত তাঁকে জিজ্ঞেস করেন সব ঠিক আছে কিনা। হলঘরটা পরিষ্কার আছে কিনা তাও জিজ্ঞেস করেন অভিনেতা। নীরাজ জানিয়েছেন, সুশান্ত কখনোই তাদের উপর কোন রাগ প্রকাশ করতেন না।
আরেক কর্মী দীপেশ জানিয়েছেন, মৃত্যুর আগের রাতে অর্থাৎ ১৩ জুন কোন খাবার খাননি সুশান্ত। শুধু একটু ম্যাংগো শেক খেয়েছিলেন তিনি। আগের দিন রাতে সাড়ে দশটায় ঘুমিয়ে পড়েছিলেন দীপেশ। সকাল সাড়ে পাঁচটায় ওঠেন তিনি। সাড়ে ছ’টা নাগাদ অভিনেতার ঘরে গিয়ে দেখেন, দরজা খোলা আর বিছানাতেই বসে রয়েছেন সুশান্ত।
চা-কফি ব্রেকফাস্ট দেবেন কিনা জানতে চাইলে না করে দেন অভিনেতা। তবে অভিনেতার মধ্যে অস্বাভাবিক কিছু দেখেননি বলেই জানিয়েছেন দীপেশ। ঘরে চলছিল ফ্যান আর চারপাশের পর্দাগুলো সরানো ছিল।
দীপেশ খুব সকালে উঠলেও নীরাজ এবং কেশব ওঠেন সকাল সাতটা নাগাদ। সকাল সাড়ে নয়টায় অভিনেতার জন্য ফলের রস, ডাবের পানি এবং কলা নিয়ে যান। ডাবের পানি আর ফলের রস খান সুশান্ত।
এরপর সকাল সাড়ে দশটায় যান অভিনেতার ঘরে। তার দুপুরের খাবারে কি খাবে জিজ্ঞেস করলেও ঘরের ভেতর থেকে কোনো উত্তর আসেনি। ঘরের দরজা বন্ধ ছিল ভিতর থেকে।
এরপরই সিদ্ধার্থকে সে কথা জানান কেশব। বলেন সুশান্ত দরজা খুলছে না। এরপরই সিদ্ধার্থ উপরে গিয়ে দরজায় ধাক্কা দেন কিন্তু কোন উত্তর আসেনি। নীরাজ সিবিআইকে জানিয়েছেন বান্ধবীরা থাকলে দরজা বন্ধ রাখেন সুশান্ত কিন্তু একা থাকাকালীন কখনোই দরজা বন্ধ রাখতেন না অভিনেতা।