সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় নিজ নির্বাচনী এলাকা ফরিদপুরের নগরকান্দার এম এন (মহেন্দ্র নারায়ণ) একাডেমি মাঠে অনুষ্ঠিত হয় এ জানাজা। এতে অংশ নেন হাজারো মানুষ। জানাজা নামাজ শেষে সাজেদা চৌধুরীর মরদেহ আবার ঢাকায় নিয়ে আসার কথা।
এরপর বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত জাতীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধার জন্য রাখা হবে তার মরদেহ। বাদ আসর বায়তুল মোকাররম মসজিদে আবারও জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
এর আগে রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টা ৪০ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী।
আরও পড়ুন: সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের শোক
তার মৃত্যুতে আলাদা বার্তায় শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ১৯৫৬ সাল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ১৯৬৯–১৯৭৫ সময়কালে তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক
১৯৭২-১৯৭৫ সময়কালে বাংলাদেশ নারী পুনর্বাসন বোর্ডের পরিচালক, ১৯৭২-১৯৭৬ সময়কালে বাংলাদেশ গার্ল গাইডের ন্যাশনাল কমিশনার এবং ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯২ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।
১৯৩৫ সালের ৮ মে মাগুরা জেলায় মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। তার পিতার নাম সৈয়দ শাহ হামিদ উল্লাহ এবং মাতা সৈয়দা আছিয়া খাতুন। শিক্ষাজীবনে তিনি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।আওয়ামী লীগনামাজজানাজাআওয়ামী লীগ নেতাসৈয়দা সাজেদা চৌধুরী