কোটি কোটি টাকার সরঞ্জাম, সাত তলা বিশিষ্ট আধুনিক নতুন ভবন। কমতি নেই কোনো কিছুর। তবুও হস্তান্তরের সাড়ে তিন বছরেও চালু হয়নি মাদারীপুর জেলা সদরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটি। ফলে মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত জেলাবাসী। অবশ্য জনবল না থাকার অজুহাত দিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টা করেই চলেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
জানা গেছে, দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ১০০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতাল। এতে ব্যয় হয় ৩০ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর গণপূর্ত অধিদফতর স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করে হাসপাতালটি। রয়েছে তিন কোটি টাকা মূল্যের সিটি স্ক্যান মেশিন। আছে ডিজিটাল এক্সরে, আল্ট্রাসনোগ্রাম, ১০টি কার্ডিয়াক মনিটর, আধুনিক জেনারেটরসহ কয়েক কোটি টাকার যন্ত্রপাতি। প্রতিবন্ধী রোগীদের জন্য রয়েছে লিফটের ব্যবস্থা। এতো কিছু থাকার পরও হাসপাতালটি চালু না হওয়ায় ক্ষুব্ধ রোগী ও স্বজনরা।
মাদারীপুর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের সৈয়দারবালী মৌজার ওপর দাঁড়িয়ে আছে হাসপাতালের নতুন সাত তলা ভবন। অথচ পাশের পুরনো ১০০ শয্যার ভবনে নাম মাত্র চিকিৎসা দিয়ে গুরুতর রোগীদের পাঠানো হয় বিভিন্ন মেডিকেলে কলেজে। ফলে মাঝপথেই অনেক রোগীর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ স্বজনদের।
খাগছাড়া এলাকা থেকে আসা বাপ্পী কাজী বলেন, এতো সুন্দর হাসপাতাল করেছে, কিন্তু চালু হয় না। ফলে জেলাবাসী উন্নত স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত। আমরা চাই দ্রুত এই হাসপাতালটি চালু করা হোক।
স্থানীয় বাসিন্দা শাহীন মিয়া বলেন, এখানে কোনো রকম সেবা দিয়েই ফরিদপুর কিংবা ঢাকা পাঠানো হয়। তখন মাঝপথে অনেক রোগীর মৃত্যু হয়। এই হাসপাতালটি চালু হলে সাধারণ রোগীরা উপকৃত হবে। জনস্বার্থে দ্রুত এটি চালু করা দরকার।
মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আহম্মেদ খান জানান, বিভিন্ন উপজেলা থেকে জনবল সংগ্রহ করে হাসপাতালটি শিগগিরই চালু করা হবে। এছাড়া এটি পূর্ণাঙ্গ চালু করতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দফতরে চিঠি দেয়া হয়েছে। খুব দ্রুত পূর্ণাঙ্গভাবে এটি চালু হবে বলেও জানান তিনি।চিকিৎসারোগীমাদারীপুরস্বাস্থ্য বিভাগহস্তান্তর