ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত, তিন হত্যা মামলার পলাতক আসামি আলকেসকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। ১০ বছর আগে দিনদুপুরে মিরপুরের শাহ আলী এলাকায় বাসু নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেন আলোচিত আলকেস। তারপর জামিনে বের হয়ে খুন করেন আরও দুজনকে। একপর্যায়ে পলাতক অবস্থায়ই চুরি ও ডাকাতি করেন এই আসামি।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সেই থেকে লাপাত্তা আলকেস। দীর্ঘ ১০ বছরে তিনি কখনো ছিলেন দূরপাল্লার বাসের ড্রাইভার, কখনো মাছ ধরার ট্রলারের চালক। পলাতক জীবনেও ডাকাতি করতেন আলকেস।
র্যাব-৪-এর অধিনায়ক মোজাম্মেল হক বলেন, নিজ বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে একসময় বিরোধ তৈরি হয়। পরে অভিযুক্ত আলকেস তার দুই সহযোগী সানু ও আজাহারকে হত্যা করেন। এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আলকেস ছাড়া আরও আসামি রয়েছেন।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, আলকেস একজন দুর্ধর্ষ অপরাধী। যখন পুলিশ তাকে খোঁজা শুরু করল, তখন তিনি পালিয়ে বরিশাল চলে যান। সেখানে তিনি হানিফ পরিবহনের একটি গাড়ি চালাতেন। এই গাড়িটা সিলেটের। আর সিলেটে গিয়ে এক পথচারীকে পিষ্ট করে তিনি মেরে ফেলেন। তাই ওখানেও তার বিরুদ্ধে পরিবহন আইনে হত্যা মামলা রয়েছে।
তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা, ডাকাতি তো বটেই, আছে মাদক মামলাও।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, একটা সময় মিরপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় চলত ত্রাসের রাজত্ব। সে রকম একটি সময়ে ২০১০ সালে শাহ আলী এলাকায় মৎস্যজীবী সমিতি নিয়ন্ত্রণ করতেন আলকেস। একই এলাকার বাসু নামে এক ব্যক্তির ১০ শতাংশ জমি আলকেসের নেতৃত্বে দখল করে ওই সমিতি।
একপর্যায়ে সমিতির নামে মামলা করে জিতে যান বাসু। কিন্তু সেই পরাজয় মানতে পারেননি আলকেস। ২০১২ সালে দিনদুপুরে বাসুকে গুলি করে হত্যা করেন তিনি। সেই মামলায় জামিনে বেরিয়ে নিজ বাহিনীর মধ্যে বিরোধের জেরে সাভারে খুন করেন নিজের দুই সহযোগীকে।