সরকার গঠনের সব অনিশ্চয়তা কাটিয়ে অবশেষে সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হলেন ডানপন্থি জোট নেতা উলফ ক্রিস্টারসন। পার্লামেন্টের তৃতীয় বৃহত্তম দলের নেতা হয়েও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ পেলেন তিনি।
গত ২৪ আগস্ট আগাম ভোটের মাধ্যমে সুইডেনজুড়ে শুরু হওয়া সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয় ১১ সেপ্টেম্বর। আর এতে পার্লামেন্টের ৩৪৯টি আসনের মধ্যে ১৭৬টি আসনে জয়লাভ করে সরকার গঠনের মর্যাদালাভ করে দেশটির ডানপন্থিদের জোট। তবে নির্বাচনে জয়ী হলেও শুরু থেকেই জোটভুক্ত দলগুলোর মধ্যে নানা ইস্যুতে মতবিরোধ দেখা দেয়। তবে এবার সব মতবিরোধ কাটিয়ে মডারেট, ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাট ও লিবারেলকে সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হলেন ডানপন্থি জোট নেতা উলফ ক্রিস্টারসন।
জোটের অন্যতম শরিক দল অভিবাসনবিরোধী হিসেবে পরিচিত ‘সুইডেন ডেমোক্র্যাট’ এবারের নির্বাচনে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। সরাসরি সরকারে না থাকলেও সরকারকে নানাভাবে প্রভাবিত করার সুযোগ থাকছে দলটির হাতে। এদিকে জোটভুক্ত দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার চুক্তি বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছেন নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টারসন। আর এটির বাস্তবায়ন হলে অভিবাসন নীতিমালায় ব্যাপক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন সুইডেনে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
সুইডেনে প্রতি চার বছর পর জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি একই সময়ে ইউনিয়ন এবং জেলা কাউন্সিল নির্বাচন হয়।