যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার পর এবার ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। তবে তেহরান জানিয়েছে, ইরানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের দেশের হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না।
ইরানে পুলিশি হেফাজতে তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুতে অব্যাহত রয়েছে বিক্ষোভ। ক্রমেই অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে দেশের পরিস্থিতি।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, চলমান বিক্ষোভে সরকারি বাহিনীর দমনপীড়নে প্রতিদিনই বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। এখন পর্যন্ত শিশুসহ ১৮০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইরান হিউম্যান রাইটস মানবাধিকার সংগঠন। এমনকি ইরানের বিভিন্ন স্কুলশিক্ষার্থীদের আটক করার অভিযোগও উঠেছে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে।
বিক্ষোভকারীদের দমনপীড়নের অভিযোগে ব্যাপক সমালোচনা ও নিন্দার মুখে পড়েছে ইরান সরকার। তবে ইরানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের দেশের হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না বলেও কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় জানায়, ইরানের অভ্যন্তরীণ বিষয় কেবল দেশটির সরকার ও সাধারণ জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সেখানে বহিরাগতদের হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই কাম্য নয়।
আন্দোলন শুরুর পর থেকেই একের পর এক পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ছে তেহরান। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার পর এবার ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও মোরালিটি পুলিশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাজ্য।
এদিকে হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে মাহসা আমিনির পরিবারের সদস্যরা। একইসঙ্গে চলমান বিক্ষোভে নিজেদের সম্পৃক্ত না করতেও সতর্ক করা হয়েছে বলে তারা জানান।