শুক্রবার আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়টির গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৫৮ কিলোমিটার পর্যন্ত। এতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ৯৫ হাজার বাড়িঘর বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।ভয়াবহ এই ঘূর্ণিঝড়ে অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া অঙ্গরাজ্যে এক শিশুসহ তিনজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এতে অনেক ঘরবাড়ি ভেঙে যাওয়াসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। খবর নাইন নিউজ ও বিবিসির।
ঘূর্ণিঝড়ে মৃত্যু হওয়া তিনজনের সবাই ভিক্টোরিয়ার রাজধানী মেলবোর্নের। শহরটিতে এমনিতেই করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাপের সংক্রমণ চলছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট বন্যায় খাবার পানি দোষণ ছড়াতে পারে বলে শহরতলির ৮৮ এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় এবং ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ায় জরুরি সাহায্যের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কাছে ২ হাজার ১০০’র বেশি ফোন এসেছে।
ঘূর্ণিঝড়ে মৃত্যু হওয়া তিনজনের মধ্যে একজন চার বছরের ছেলে শিশু। বাবার সঙ্গে রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় গাছ চাপায় মৃত্যু হয় তার।অপর দুজনের মধ্যে ৫৯ বছর বয়সী এক পুরুষ এবং ৩৬ বছর বয়সী এক নারী। গাড়ির ওপর গাছ চাপায় উভয় জনের মৃত্যুর হয় তাদের।
এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে নর্দমার পানি খাবার পানির আধারে মিশে গেছে। এতে পানি সংকটে পড়েছে প্রায় আড়াই লাখ বাড়িঘর। তাই জনসাধারণকে পানি সিদ্ধ করে পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।