যুদ্ধ ট্যাংক পেতে মরিয়া হলেও ইউক্রেনকে তা দেবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে জার্মানি। সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) বার্লিনে জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস্টিনা লামব্রেশট একথা জানান।
তিনি বলেন, কোনো দেশ এখন পর্যন্ত পশ্চিমা নির্মিত যুদ্ধ ট্যাংক ইউক্রেনকে সরবরাহ করেনি। জার্মানিও একতরফাভাবে এ ধরনের পদক্ষেপ নেবে না। এ বিষয়ে আমাদের অংশীদাররা যা করবে আমরাও তাই করব।
তিনি আরও বলেছেন, ১০০ বিলিয়ন ইউরোর বিশেষ তহবিল ব্যবহার করার পরও ন্যাটোর বেঁধে দেয়া জিডিপির ২ শতাংশ সামরিক ব্যয়ের লক্ষ্য জার্মানিকে পূরণ করতে হবে। জার্মানিকে সামরিক নেতৃত্ব গ্রহণ করতে হবে।
জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের নিরাপত্তার জন্য জিডিপির ২ শতাংশ সামরিক ব্যয় আমাদের দরকার। এখন যে সরঞ্জাম কিনছি, কয়েক বছরের মধ্যেই সেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের খরচ আমরা বহন করতে পারব না। এ পরিস্থিতি আমাদের অবশ্যই এড়ানো দরকার।’
আরও পড়ুন: দখল-পুনর্দখল /রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মোড় কি ঘুরে যাচ্ছে?
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকেই জার্মানিতে বেড়েছে তেল-গ্যাসসহ সব ধরনের জ্বালানির দাম। মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় দিশেহারা সাধারণ মানুষ। এ পরিস্থিতিতে আসন্ন শীত মৌসুমে জ্বালানি সমস্যা সমাধান ও জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোসহ সব ধরনের সংকট মোকাবিলায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি ইউরো সহায়তা তহবিল ঘোষণা করেছে চ্যান্সেলর ওলাফ শলজ সরকার।
জার্মানির বেশ কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি জরিপ বলছে, গত আগস্টে দেশটির মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়ায় ৮ শতাংশে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামও বেড়েছে ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ।
শলজ জানান, আগামী শীত মৌসুম মাথায় রেখে পর্যাপ্ত গ্যাস মজুত করা হয়েছে। তাই নর্ডস্ট্রিম ওয়ান পাইপলাইন দিয়ে গ্যাস সরবরাহ বন্ধের পরও শীতে জ্বালানি সরবরাহে কোনো সমস্যা হবে না বলে সবাইকে আশ্বস্ত করেন তিনি।
এদিকে ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখতে ও বর্তমান সরকার তাদের ব্যর্থতা ঢাকতে এই তহবিলের ঘোষণা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল সিডিইউ।