রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিহত শিক্ষার্থী শাহরিয়ারের চিকিৎসায় অবহেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মারধরে অভিযোগে নগরীর রাজপাড়া থানায় এজাহার জমা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আব্দুস সালামের নেতৃত্বে একটি টিম এ অভিযোগ করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রক্টর আরিফুর রহমান।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন রামেক হাসপাতালে রাবি শিক্ষার্থীদের ভাঙচুরের প্রতিবাদে মেডিকেলের পক্ষ থেকে রাজপাড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। সেখানে ৩০০ শিক্ষার্থীকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
তবে রাবি শিক্ষার্থীদের আসামি করে অভিযোগ নথিভুক্ত করার আবেদনে ক্ষোভ ছড়িয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে। এদিকে রামেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা রাবি শিক্ষার্থীদের হামলার বিচারের দাবিতে শনিবার দুপুর থেকে পুনরায় কর্মবিরতি পালন করছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে গত বুধবার (১৯ অক্টোবর) রাত ৮টায় শহীদ হবিবুর রহমান হলের তৃতীয় তলার পিলার বেয়ে পাশের ব্লকে যাওয়ার সময় পা পিছলে অসাবধানতায় নিচে পড়ে যান শাহরিয়ার। এতে গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান বন্ধু ও সহপাঠীরা। রাত ৯টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রামেক হাসপাতালের চিকিৎসকদের অবহেলায় সহপাঠী মারা গেছেন–এমন অভিযোগে হাসপাতাল ভাঙচুর করেন রাবির শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে হাসপাতালে ভাঙচুরের অভিযোগে কর্মবিরতিতে যান ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।