এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে যেতে চায় না ভারত। তাদের এমন সিদ্ধান্তের পরই ক্ষোভে ফুঁসছে পাকিস্তান। দেশটির সাবেক ক্রিকেটাররা ছাড়াও পিসিবির তরফেও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখানো হচ্ছে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এরই মধ্যে জানিয়ে রেখেছে, রোহিত-কোহলিরা না এলে ভারতেও বিশ্বকাপ খেলতে যাবে না পাকিস্তান।
কদিন আগে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভার পর জয় শাহ বলেছিলেন, ‘আমরা পাকিস্তানে খেলতে যাব না। এশিয়া কাপ নিরপেক্ষ ভেন্যুতে হতে পারে। এরপরই মূলত খেপে গেছে পাকিস্তান। ওয়াসিম আকরাম, শহিদ আফ্রিদি ছাড়াও এবার মুখ খুললেন জাভেদ মিয়াঁদাদ।
মিয়াঁদাদ বলেন, ‘আইসিসি থাকার মানে কী? তাহলে এশিয়া কাপ বন্ধ করে দেয়া হোক। একে অপরের বিপক্ষে খেললে দুই দেশের ক্রিকেটের জন্যই ভালো হবে। ক্রিকেটের মধ্যে রাজনীতিকে আনা উচিত নয়। ক্রিকেটারদের জন্যই এই অনুরোধ করছি। এটা খেলব, ওটা খেলব না করা ঠিক নয়। তার থেকে দুই দেশের খেলাই বন্ধ করে দেয়া হোক।’
এর আগে ওয়াসিম আকরাম বলেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড খুব বড় কথা বলে দিল। ভারত কখনো বলে দিতে পারে না পাকিস্তান কীভাবে ক্রিকেট খেলবে। ১০-১৫ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে ক্রিকেট খেলা শুরু হয়েছে। আমি একজন সাবেক ক্রিকেটার। রাজনীতিতে কী হচ্ছে আমি জানি না। কিন্তু যোগাযোগ থাকাটা প্রয়োজন। আপনার যদি কিছু বলারই ছিল জয় শাহ, তাহলে আমাদের পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলতে পারতেন। এশিয়ান কাউন্সিলের বৈঠক ডাকতে পারতেন। আপনি নিজের ভাবনার কথা জানাতেন। তা নিয়ে আলোচনা হতো।’
সম্প্রতি পিসিবি তাদের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এশিয়া ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভাপতি জয় শাহর নিরপেক্ষ ভেন্যুতে এশিয়া কাপ সরিয়ে নেয়ার বক্তব্যে হতাশ ও বিস্মিত পিসিবি। এসিসি বা আয়োজক পিসিবির সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা ও পরামর্শ ছাড়াই তারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরপর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তারা জানায়, এমন সিদ্ধান্ত ২০২৩ সালে ভারতের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও ২০২৪ থেকে ২০৩১ সালের মধ্যে দেশটিতে আয়োজিত আইসিসির যেকোনো ইভেন্টে পাকিস্তানের অংশ নেয়ার পথে বাধার সৃষ্টি করবে।
দুই দেশের রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে ২০০৮ সালের পর থেকে পাকিস্তান সফরে যায়নি ভারত। শেষবার ২০১২ সালে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলেছিল দুদল। সেবার ভারত সফরে এসেছিল পাকিস্তান।