বিভিন্ন করোনা পিসিআর ল্যাবের স্বেচ্ছাসেবী মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা সরাসরি স্থায়ী নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন। করোনাকালে রাজস্ব খাতে স্থায়ী নিয়োগে তারা বাদ পড়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘আমরণ অনশন’ ব্যানারে তারা এই দাবি জানান। কর্মসূচিতে স্বেচ্ছাসেবী মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের পক্ষে মো. শহিদুল আমিনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন হাসপাতালের করোনাকালীন স্বেচ্ছাসেবী মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা।
এতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টম অধিবেশনে কোভিড-১৯ এর সঙ্গে যুক্ত স্বেচ্ছাসেবী মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের সরাসরি রাজস্ব খাতে নিয়োগের ঘোষণা দেন। কিন্তু সরকার পরপর প্রথম ধাপে ১৪৫ জন এবং দ্বিতীয় ধাপে ৫৭ জন স্বেচ্ছাসেবী মেডিকেল টেকনোলজিস্টকে সরাসরি স্থায়ী নিয়োগ দেয়। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় ১৪৫ জন এবং ৫৭ জনের মধ্যে প্রকৃত করোনাযোদ্ধা মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের বঞ্চিত করা হয়।
বক্তারা বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রথম থেকেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করে যাচ্ছেন। স্বেচ্ছাসেবী মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা তাদের জীবনের মায়া ত্যাগ করে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ সদস্য, মন্ত্রী, সচিব, ব্র্যাকের সংগ্রহকৃত নমুনা পরীক্ষা, বিভিন্ন জেলার সংগ্রহ করা নমুনা, বিদেশগামী যাত্রীদের নমুনা পরীক্ষা, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষাসহ করোনা পরীক্ষা করতে আসা সবার পরীক্ষা ও নমুনা সংগ্রহ করে আসছে।
‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতিক্রমে ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রেলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম), কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল সহ আরো কিছু হাসপাতালের পরিচালকরা স্বেচ্ছাসেবী মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের (ল্যাব) ওসব প্রতিষ্ঠানের কোভিড-১৯ এর পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা এবং নমুনা সংগ্রহ কাজে যুক্ত করেন।’
তারা বলেন, দেশ ও জনগণের স্বার্থে এই বৈশ্বিক মহামারিতে স্বেচ্ছাসেবকরা এগিয়ে এলেও প্রথম সারির কোভিড-১৯ হাসপাতালের নমুনা সংগ্রহকারী ও আরটি-পিসিআর ল্যাবে কর্মরত সকল স্বেচ্ছাসেবী মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বাদ পড়াদের নিয়োগ প্রদানে প্রধানমন্ত্রীর প্রযোজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি।