টাঙ্গাইলের সাগরদিঘী হাতিমাড়া এলাকার কলেজ ছাত্র সিহাব হাসান পেঁপে চাষ করে খুব অল্প সময়ে অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হয়েছেন। সিহাব সাগরদিঘি কলেজের একাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনার পাশাপাশি কৃষক বাবা বাদল মিয়ার সাথে কৃষি কাজ করেন। বাবার কাছ থেকে অনুপ্রাণিত এবং সহযোগিতা নিয়ে তিনি প্রায় ৮০ বিঘা জমিতে হাইব্রিড জাতের পেঁপে চাষ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন। স্থানীয় কৃষকদের কাছে তিনি এখন রোল মডেল। সিহাব পেঁপে চাষ করে অল্প সময়ে অধিক লাভবান হওয়ায় অন্যান্য শিক্ষিত বেকাররাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন সবজি জাতীয় এ ফলকে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ করতে।
সিহাব হাসান জানায়, চলতি বছরের শুরুর দিকে তিনি প্রায় ৮০ বিঘা জমি লিজ নিয়ে পেঁপে বাগান করেন। স্থানীয় উচ্চ জাত ও রেড লেডি জাতের নিজস্ব উৎপাদন করা পেঁপের চারা দিয়ে সাজানো বাগানে প্রায় ২২ হাজার পেঁপে গাছ রয়েছে। তাছাড়া ঘাটাইল উপজেলা কৃষি অফিসার সবসময় সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়েছেন। জমি লিস, চারা, সার, কীটনাশক, শ্রমিকসহ নানা খরচ বাবদ এ পর্যন্ত আমার ৫০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। ফলন অনেক ভালো হয়েছে। সিহাবের প্রত্যাশা আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এই বাগান থেকে প্রায় এক কোটি টাকা আয় হবে।
সিহাবের পেঁপে বাগান দেখে এলাকার অনেকেই এখন পেঁপে চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। তাছাড়া পেঁপে চাষে তেমন কোন প্রতিবন্ধকতা নেই। মাকড়শা ও ছত্রাক ছাড়া পেঁপে বাগানে তেমন কোন সমস্যা হয় না।
এ বিষয়ে ঘাটাইল উপজেলা কৃষি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) দিলশাদ জাহান বলেন, সিহাব হাসান করোনার দীর্ঘ ছুটিতে বসে না থেকে সময়টাকে কাজে লাগিয়েছে। উপজেলায় তিনি এখন একজন বড় পেঁপে চাষী। আমরা বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি ও পরামর্শ দিয়ে তাকে সার্বিক সহযোগিতা করেছি। তাকে দেখে অনেকে এখন পেঁপে চাষে আগ্রহী। তাছাড়া পেঁপে বাগান করে খুব অল্প সময়েই লাভবান হওয়া যায়।