পুরো সপ্তাহ জুড়েই তিনি খবরের শিরোনামে আছেন। এমনিতে মাঠের পারফরম্যান্সের কারণে সব সময়ই খবরের শিরোনাম হন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। এবার অবশ্য কারণটা ভিন্ন-তাঁকে উদ্দেশ করে করা হয়েছিল বর্ণবাদী মন্তব্য। এ নিয়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে ফুটবল বিশ্বে। আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে রিয়াল মাদ্রিদের ম্যাচের আগেও ফুটবলের চেয়ে বেশি কথা হয়েছে এ নিয়ে।
ম্যাচ শুরুর আগে মাঠের বাইরে ভিনিসিয়ুসকে উদ্দেশ করে বর্ণবাদী গান গেয়েছে আতলেতিকোর সমর্থকেরা। রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে সরাসরি ‘বানর’ বলেছে তারা। এর জবাব ভিনিসিয়ুস-রদ্রিগোরা মাঠে দিয়েছেন গোলের পর নেচে উদ্যাপন করে। ভিনিসিয়ুসের ওই নাচ নিয়েই যে সমস্যার শুরু।আরও পড়ুনমাদ্রিদ ডার্বি জিতে রিয়ালের ছয়ে ছয়
স্পেনের এক টিভি অনুষ্ঠান দেশটির ফুটবল এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান পেদ্রো ব্রাভো গোল উদ্যাপনে ভিনিসিয়ুসের ওই নাচকে প্রতিপক্ষের প্রতি অসম্মানসূচক বলে উল্লেখ করেছেন। এর সঙ্গে যোগ করেছেন-তাঁর উদ্যাপন বানরের মতো!
কাল মাদ্রিদ ডার্বিতে রিয়ালের জয়সূচক গোলটি করেছেন ফেদেরিকো ভালভের্দে। গোলটি অবশ্য হতে পারত ভিনিসিয়ুসেরই। তাঁর নেওয়া শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বল জালে জড়ান ভালভের্দে। জয়সূচক এ গোলের পর রিয়ালের খেলোয়াড়েরা যখন উচ্ছ্বাস করছিলেন, ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার রদ্রিগো খুঁজে নেন ভিনিসিযুসকে। দুই ব্রাজিলিয়ান মিলে নেচে উদ্যাপন করেন গোল। এ সময় অবশ্য ওয়ান্দা মেত্রোপালিতানোর গ্যালারি থেকে ছুটে আসে বর্ণবাদী মন্তব্য, সঙ্গে বোতলসহ আরও অনেক কিছু।আরও পড়ুনমেসির গোলে জিতল পিএসজি
ম্যাচ শুরুর আগে মাঠের বাইরে বর্ণবাদী গান, মাঠের ভেতরেও আতলেতিকো সমর্থকদের এমন বর্ণবাদী আচরণ-সব মিলিয়ে ভিনিসিয়ুস কি গতকালের ম্যাচে অমনোযোগী হয়ে পড়েছিলেন? ম্যাচ শেষে এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদের কোচ কার্লো আনচেলত্তিকে।
ম্যাচে আতলেতিকোর এক খেলোয়াড়ের মাথার ওপর দিয়ে বল ফ্লিক করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছেন ভিনিসিয়ুস। প্রশ্নকর্তা সাংবাদিক সে বিষয়টি মনে করিয়ে দেন আনচেলত্তিকে। এই প্রশ্নের উত্তরে রিয়ালের কোচ যা বললেন, সেটার মর্মার্থ দাঁড়ায়-দলের গোল দুটি রদ্রিগো আর ভালভের্দে করতে পারেন, কিন্তু ম্যাচসেরা আসলে ভিনিসিয়ুসই! আরও পড়ুনএক দিনে হেরে ৬৭ বছরের পুরোনো স্মৃতি ফেরাল ইন্টার, জুভ, রোমা ও এসি মিলান
সেই ফ্লিকের বিষয়টি টেনে এনে আনচেলত্তি বলেছেন, ‘আমি মনে করি ওই পরিস্থিতিতে বল আরও ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যেত। কিন্তু নামটা যখন ভিনিসিয়ুস, আমি ওর প্রতিভাকে কোনো গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ করব না। তার প্রতিভার ঝলকেই আমরা ২-০ করতে পেরেছিলাম। আর ওই দ্বিতীয় গোলটিই আমাদের ডার্বি জিতিয়েছে।’
আনচেলত্তি দুই গোলদাতা রদ্রিগো আর ভালভের্দেরও প্রশংসা করেছেন ম্যাচ শেষে, ‘এ দুজন অসাধারণ খেলোয়াড়। আধুনিক ফুটবলারদের যা থাকা দরকার, তার সবকিছুই ওদের আছে। ওরা যেভাবে খেলছে, আমরা সবাই খুব খুশি।’