নাটোর জেলা পরিষদ নির্বাচনের জাতীয় পার্টির নেতা ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. নূরুন্নবী মৃধার চেয়ারম্যান পদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচনের আপিল কর্তৃপক্ষ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শুনানি শেষে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ও আপিল কর্তৃপক্ষ আবু তাহের মো. মাসুদ রানা নাটোরের রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত বাতিল ঘোষণা করেন।
এর আগে প্রস্তাবক ও সমর্থক চেয়ারম্যান পদে তাঁদের সমর্থন প্রত্যাহারের হলফনামা জমা দেওয়ায় ১৮ সেপ্টেম্বর নূরুন্নবী মৃধার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা শামীম আহমেদ। তবে ওই দিনই আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রস্তাবক ও সমর্থনকারীকে আটক রেখে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মিথ্যা তথ্যের হলফনামা জমা দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন নূরুন্নবী মৃধা। নূরুন্নবী মৃধার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা হওয়ায় নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন আর হচ্ছে না। আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাজেদুর রহমান খানকে এখন মো. নূরুন্নবী মৃধার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে।
পরদিন নূরুন্নবী মৃধা রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ও আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শুনানি শেষে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ও আপিল কর্তৃপক্ষ আবু তাহের মো. মাসুদ রানা নাটোরের রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত বাতিল ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে নূরুন্নবী মৃধাকে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। আপিল কর্তৃপক্ষ পর্যবেক্ষণে বলেন, প্রস্তাবক ও সমর্থকারী মনোনয়নপত্রে স্বাক্ষর করার পর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় আপত্তি করেননি। তাই পরে দেওয়া তাঁদের আপত্তির হলফনামা গ্রহণযোগ্য হবে না।
নূরুন্নবী মৃধা প্রথম আলোকে বলেন, ‘জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ক্ষেত্রে আমার আর কোনো বাধা থাকল না। তবে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছি। প্রতিপক্ষরা হয়তো আমাকে নির্বাচনী মাঠে প্রতিহত করার উদ্যোগ নেবে। আমি নিরাপত্তা চাই।’
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, ‘মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণার কথা শুনেছি। তবে আমি রাজশাহীতে অবস্থান করায় আপিল কর্তৃপক্ষের আদেশ হাতে পাইনি। কেউ যদি আপিল কর্তৃপক্ষের আদেশ চ্যালেঞ্জ না করেন বা ভিন্নতর কোনো আদেশ না হয়, তাহলে নূরুন্নবী মৃধার নির্বাচন করতে বাধা থাকবে না।’