মার্কিন কংগ্রেস ভবন ঘিরে গতকাল বুধবার ট্রাম্পের উগ্র সমর্থকদের হামলা-সংঘাত-সংঘর্ষের কয়েক ঘণ্টা পরই জো বাইডেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে অনুমোদন দেয় কংগ্রেস। বিবিসির খবর।
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ঘোষণা দেন, আগামী ২০ জানুয়ারি নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট শপথ গ্রহণ করবেন এবং দুজন একইসঙ্গে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। নিয়ম অনুযায়ী কংগ্রেসের এই যৌথ অধিবেশনে সিনেটে সভাপতিত্ব করেন মাইক পেন্স।
গতকাল ট্রাম্পের শত শত উগ্র সমর্থক ক্যাপিটল ভবনে হামলা চালায়। জো বাইডেনের জয় আনুষ্ঠানিকভাবে সত্যায়নের জন্য এ সময় কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন চলছিল। নির্বাচনে ট্রাম্পের পরাজয়ের বিরোধিতা করে এ হামলা চালানো হয়। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মুখে একপর্যায়ে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন স্থগিত করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে আবার অধিবেশন শুরু হয়।
ওই সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের গুলিতে এক নারী ও হাসপাতালে জরুরি বিভাগে তিনজনের মৃত্যু হয়। পরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এক ভিডিও বার্তায় তাঁর সমর্থকদের ‘বাড়ি ফেরার’ আহ্বান জানান। যদিও তিনি ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলে টুইটার ও ফেসবুকে অনবরত দাবি চালিয়েই যাচ্ছিলেন; পরে টুইটার ও ফেসবুক তাঁর অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়।
স্থানীয় সময় গতকাল সন্ধ্যায় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স স্থগিত অধিবেশন শুরু করেন। তিনি দিনটিকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলের ইতিহাসে কালো অধ্যায়’ বলে মন্তব্য করেন।
কয়েকজন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা অ্যারিজোনা ও পেনসিলভানিয়ায় ফল উল্টে দেওয়ার অভিযোগ তুললে তা নাকচ হয়ে যায়। অধিবেশনে ইলেকটোরাল কলেজ ভোট গণনা শেষে নিশ্চিত ফল জানানো হয়। সেখানে দেখা যায়, বাইডেন পেয়েছেন ৩০৬ ভোট আর ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩২ ভোট।
মূলত, জর্জিয়ার সিনেট নির্বাচনে দুই ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জয়ের খবর আসার পরই এই হামলার ঘটনা ঘটে। কারণ, এ দুটি আসনের জয়-পরাজয়ের ওপর সিনেটে দুই দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নির্ভর করছিল। এই জয়ের ফলে ক্ষমতা গ্রহণের পর কংগ্রেসে জো বাইডেনের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের পথ সুগম হবে।
২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেনের শপথ নেওয়ার কথা।