ডেঙ্গু রোগীর কারণে চরম শয্যা সংকটে পড়েছে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট। ডেঙ্গু আক্রান্ত সন্তানকে ভর্তি করাতে না পেরে হতাশা নিয়ে প্রতিদিনই ফেরত যাচ্ছেন অভিভাবকরা। সাধারণ ডেঙ্গু হলে ভর্তির প্রয়োজন নেই জানিয়ে হাসপাতাল চিকিৎসকরা বলছেন, বিপদ চিহ্ন দেখা গেলে দ্রুতই আনতে হবে হাসপাতালে।
কম্বল মোড়ানো সন্তানকে নিয়ে বাবার দীর্ঘ অপেক্ষা বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের বারান্দায়। জ্বরে গা পুড়ে গেলেও চিকিৎসা শুরু না হওয়ায় ফিরে যেতে হয়। কারণ ফাঁকা নেই হাসপাতালের একটিও শয্যা।
সোমবার সকাল গড়িয়ে দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করেও পাননি একটি সিট অনেকে। এরপর চরম হতাশা নিয়েই হাসপাতাল ছাড়তে বাধ্য হন অভিভাবকরা। গন্তব্য অন্য কোনো হাসপাতাল। সেখানে শয্যা মিলবে কিনা সেটিও অজানা। প্রতিনিয়ত এভাবেই ছুটছেন ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুর অভিভাবকরা।
ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবে প্রায় প্রতিটি হাসপাতালেই উপচে পড়া রোগীর চাপ থাকলেও শিশু হাসপাতালের অবস্থা সব থেকে নাজুক। প্রতিদিনই শয্যা না পেয়ে শিশু নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন স্বজনরা।
পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছর এ পর্যন্ত শিশু হাসপাতালটিতে ডেঙ্গু নিয়ে চিকিৎসা নিয়েছে প্রায় আটশ শিশু। বর্তমানে ভর্তি রোগীর সংখ্যা পঁয়ষট্টি।
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন,আমাদের এখানে বেডের সমস্যা আছে, প্রতিটি রোগী আসে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে, কিন্তু আমাদের এখানে বেডে সমস্যা রয়েছে। যেসব ডেঙ্গু রোগীর বাসায় চিকিৎসা করা সম্ভব সেই সব রোগীদের ডিসচার্য করে দিয়ে সেই সব জায়গাতে নতুন ও জটিল রোগী ভর্তি করা হচ্ছে।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরে উদ্বেগের কিছু নেই জানিয়ে ঘরেই চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেন এ চিকিৎসকরা।
অধ্যাপক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ক্ল্যাসিকেল ডেঙ্গুতে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দরকার নেই। তবে বিপদ চিহ্ন দেখা দিলে অবশ্যই দেরি করা যাবে না। যে কোনো সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে যেখানে ডেঙ্গু চিকিৎসা হয় সেখানে রোগীতে নিয়ে যেতে হবে।
চলতি বছর সারা দেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩১ হাজার।