নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন অভিযানে তিতাসের ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রমে বাধা দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। একপর্যায়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারী শত শত নারী-পুরুষ।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে অবরোধের ঘটনায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল থেকে মেঘনাঘাট পর্যন্ত অন্তত ১৫ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। দুই ঘণ্টা পর বিকেল ৪টায় পুলিশের তৎপরতায় বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এর আগে, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইব্রাহিমের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানের শুরুতেই তিন হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তিতাস। এ সময় স্থানীয় নারী ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে শতাধিক নারী-পুরুষ এসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাজে বাধা সৃষ্টি করে এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ তিতাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ওপর চড়াও হয়। পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে তারা একত্রিত হয়ে লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশকে ধাওয়া করে। পুলিশের সঙ্গে তাদের দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে এবং টায়ার জ্বালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে শতাধিক অ্যাম্বুলেন্স ও হজ যাত্রীসহ কয়েক হাজার মানুষ যানজটে আটকা পড়ে ভোগান্তির শিকার হন। দীর্ঘ দুই ঘণ্টা পর পুলিশের তৎপরতায় অবরোধকারীরা রাস্তা থেকে সরে গেলে বিকেল ৪টায় মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইব্রাহিম সময় সংবাদকে বলেন, ‘অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু করি। এ সময় অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারীরা কাজে বাধা সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। পরে পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।’
জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন সময় সংবাদকে বলেন, ‘স্থানীয় কিছু দালাল ও দুষ্কৃতকারী এলাকার নারীদের উসকে দিয়ে সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি ও মহাসড়ক অবরোধ করে। এতে শত শত যানবাহন যানজটের কবলে পড়ে; এতে হাজার হাজার যাত্রী ভোগান্তির শিকার হন। নারীরা রাস্তা অবরোধ করায় তাদের সেখান থেকে সরাতে খুব বেগ পেতে হয়। অনেককে ‘মা’ বলে ডেকে মানুষের ভোগান্তির কথা বলার পরে পুলিশের অনুরোধে নারীরা সড়ক ছেড়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।’