Saturday , December 21 2024
Breaking News

দেড় বছর পর কর্ণফুলী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

চট্টগ্রাম বন্দরের প্রাণখ্যাত কর্ণফুলী নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ২০১৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে ২৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে উদ্ধার করা হয় প্রায় ১০ একর ভূমি। আলোর মুখ দেখে পাঁচটি খালের মুখ। এরপর গত ১৯ মাসেও আর কোনো অভিযান পরিচালিত হয়নি।

১৯ মাস পর বৃহস্পতিবার আবার অভিযান পরিচালনা করা হয়। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন যৌথভাবে পরিচালিত অভিযানে দুইশত কাঁচা ও সেমিপাকা ঘর, দোকান ভেঙে প্রায় ১০ একর ভূমি পুনরুদ্ধার করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন বন্দর কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম বাড়ৈ ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এহছান মুরাদ।

বন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম বাড়ৈ বলেন, ‘কর্ণফুলীর উত্তর পাড়ে সদরঘাট থেকে মাঝিরঘাট এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছিলো। উচ্ছেদকৃত জায়গায় আবারো কিছু অবৈধ দখলদার দোকান, ঘরসহ নানা স্থাপনা তৈরি করার খবর পেয়ে পুনরায় উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে।’
চট্টগ্রাম বন্দরের সহকারী এস্টেট ম্যানেজার মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, ‘উচ্ছেদ অভিযানে ৩০ জন শ্রমিক ও ৩০ জন আনসার সদস্য অংশ নেন। এ সময় ২০০ কাঁচা, সেমিপাকা ঘর ও দোকানসহ মিলে ২০০ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১৬ অগাস্ট হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ কর্ণফুলী নদীর দুই তীরে গড়ে ওঠা স্থাপনা সরাতে ৯০ দিনের সময় বেঁধে দেয়। ২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বর উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এক কোটি ২০ লাখ টাকা অর্থ বরাদ্দ চেয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। অর্থ সংকুলান না হওয়ায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়নি। পরে ভূমি মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে অর্থ সংস্থানের পর অভিযান শুরু হয়।

About Banglar Probaho

Check Also

আ.লীগ ও সহযোগীদের কাছে লোক চেয়েছে যুবলী

সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আগামীকাল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বড় জমায়েতের উদ্যোগ নিয়েছে যুবলীগ। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি যখন …

Leave a Reply

Your email address will not be published.