ইভিএমে ভোট ডাকাতি করতে পারবে না বলেই ব্যালটে ভোট চায় বিএনপি। এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে বাড়াবাড়ি করলে ছাড় দেয়া হবে না। এদিকে সব বাধা উপেক্ষা করে আন্দোলন চলিয়ে যাওয়ার ঘোষণা বিএনপি নেতাদের।
রাজনীতির মাঠে প্রতিপক্ষকে ছাড় দিতে নারাজ বড় দুই রাজনৈতিক দল বিএনপি ও আওয়ামী লীগ। আগামী নির্বাচন ঘিরে সভা-সমাবেশে দুই দলের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে উত্তপ্ত রাজনীতির মাঠ।
বিএনপির জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে রাজধানীর হাজারীবাগে শনিবার (১ অক্টোবর) বিক্ষোভ সমাবেশ করে থানা আওয়ামী লীগ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে আসা না আসা রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্ত। এ ব্যাপারে কাউকে জোর জবরদস্তি করা হবে না।
একই দিনে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অংশ নেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, বিএনপি সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করতেই অপতৎপরতা চালাচ্ছে।
এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বিএনপির আন্দোলন জমে উঠছে বলেই বাধা দিচ্ছে সরকার। সব বাধা উপেক্ষা করে নতুন কৌশলে মাঠে থাকার কথা বলেন তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘ক্ষমতার জোর দিয়ে আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে চায়। গুম, খুন, মিথ্যা মামলা দিয়ে তারা রাজনীতি করছেন। তারা আমাদের কাজে নানাভাবে বাধা দিচ্ছেন, ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘জনসমর্থন যাদের নেই, তারাই সহিংসতায় নামে, তারাই অন্যের কাজে বাধা দেয়। কিন্তু আমরা তো আওয়ামী লীগের কাজে বাধা দিচ্ছি না!’
এদিকে, সদ্য ঘোষিত বিভাগীয় সমাবেশের কর্মসূচি সফল করতে খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের নেতাদের সঙ্গে রাজধানীর গুলশানে বৈঠক করেছে বিএনপি। এতে উপস্থিত ছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সিনিয়র নেতারা।