এই দুই দলের সঙ্গে লড়াই করতে পারলে বিশ্বকাপের জন্য দারুণ প্রস্তুতি হবে বলে মনে করেন ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স।
লিঙ্কনে দলের অনুশীলনে মঙ্গলবার লিটন দাসের সঙ্গে কথা বলছেন ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের রানার্স আপ নিউ জিল্যান্ড। এবারও তাদের সম্ভাবনা কম নয়। টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানও বিশ্বের সেরা দলগুলির একটি। র্যাঙ্কিংয়ে তারা আছে তিন নম্বরে। বিশ্বকাপের আগে এমন দুটি দলের বিপক্ষে খেলার সুযোগটা কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ। ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্সের মতে, এই দুই দলের সঙ্গে লড়াই জমাতে পারলে বিশ্বকাপের জন্য দলের প্রস্তুতি দারুণ হবে।
ভালো প্রস্তুতির আশা নিয়েই বাংলাদেশ এখন নিউ জিল্যান্ডে। দীর্ঘ ভ্রমণের পর রোববার ক্রাইস্টচার্চে পৌঁছায় দল। এরপর বিশ্রামের পালা শেষে মঙ্গলবার লিঙ্কনে অনুশীলনে ঘাম ঝরান ক্রিকেটাররা।
এই ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজনের মূল লক্ষ্য বিশ্বকাপের প্রস্তুতি। এই সংস্করণে ক্রমাগত ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশের জন্য এই টুর্নামেন্ট থেকে পাওয়ার আছে অনেক কিছু। দলের ঘাটতি-দুর্বলতার বেশ কিছু জায়গা নিয়ে প্রশ্নের সমাধান খুঁজতে হবে এই টুর্নামেন্ট থেকে। পাশাপাশি দলগত প্রস্তুতির দিক থেকেও একটি লক্ষ্যের কথা সিডন্স তুলে ধরলেন ক্রাইস্টচার্চে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে।
“এর চেয়ে ভালো কিছু আর চাইতে পারতাম না আমরা । গত বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট দল একটি। পাকিস্তানও ওপরের সারির দল, দুর্দান্ত টি-টোয়েন্টি দল। আমরা যদি ওদের চ্যালেঞ্জ জানাতে পারি, তাহলে বিশ্বকাপের জন্য তৈরি হওয়ার পথে অনেকটাই এগিয়ে থাকতে পারি।”
শুধু প্রতিপক্ষ নয়, উইকেট ও কন্ডিশনের দিক থেকেও এই টুর্নামেন্টকে প্রস্তুতির আদর্শ মঞ্চ মনে করছেন সিডন্স। এমনিতে নিউ জিল্যান্ডে এখনও অনেক শীত। অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপের সময় থাকার কথা বেশ গরম। নিউ জিল্যান্ডের উইকেটগুলোতে অনেক সময় মুভমেন্টও মেলে, যা অস্ট্রেলিয়ায় দেখা যায় কম। তবে এই টুর্নামেন্টের সব ম্যাচ ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে, যেখানকার উইকেটের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার মিল খুঁজে পান সিডন্স।
“কন্ডিশন অনেকটাই একরকম। এখানে ও ইনডোর সেন্টারে উইকেট বেশ ভালো। আমরা এখানে এজন্যই এসেছি। হ্যাগলির উইকেট অনেকটা অস্ট্রেলিয়ার মতোই হবে। অস্ট্রেলিয়ায় মৌসুমের শুরুটায় উইকেট যেরকম থাকে, এখানেও প্রায় একইরকম।”
প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই এই ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে দুবাইয়ে সপ্তাহখানেকের সফর সেরে এসেছে বাংলাদেশ দল। প্রত্যাশিত দাপটে না হলেও সেখানে দুটি ম্যাচে ধরা দিয়েছে জয়। সামনে তাকিয়ে সিডন্স এখন তরুণদের জ্বলে ওঠার অপেক্ষায়।
“দুবাইয়ে এক সপ্তাহের সফরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে দুটি ম্যাচ খেলে ও অনুশীলন করে এসেছি আমরা। সেখানে সুযোগ-সুবিধা ছিল দুর্দান্ত। আমাদের দলটা বেশ তরুণ। সিনিয়র ক্রিকেটারদের কেউ কেউ অবসর নিয়েছে, কেউ এই সফরে নেই। তবে তরুণ দলটা নিয়ে আমরা রোমাঞ্চিত। তাদের শেখার অনেক কিছু আছে। খুব ভালো ও শক্তিশালি দুটি দলের বিপক্ষে ওরা কেমন করে, দেখতে আমরা মুখিয়ে আছি।”
“সাব্বির ও মিরাজের মতো ছেলেরা ব্যাটিং ওপেন করছে, তামিম-লিটনের ওপেন করার চেয়ে এটা পুরোই আলাদা। লিটন যদিও আছে, তিন বা চার নম্বরে। সিনিয়র ক্রিকেটার এখনও আছে। তবে তরুণরা খুবই রোমাঞ্চকর এবং প্রাণবন্ত। আশা করছি, তারা সেভাবেই নিজেদের মেলে ধরবে।”
পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের লড়াই দিয়ে শুক্রবার শুরু ত্রিদেশীয় সিরিজ।