বিএনপি নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, নির্দলীয় সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। তাদের আন্দোলনে সরকার ভয় পেয়েছে। দেশের সাধারণ মানুষের বিএনপির প্রতি সমর্থন আছে।
দুই দফা স্থান পরিবর্তন করে সবশেষ রাজধানীর বাড্ডার হাইস্কুল মাঠে পূর্বনির্ধারিত সমাবেশের অনুমতি পায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি। এরপরই ব্যানার-ফেস্টুন আর মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে আসতে থাকেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
বিকেলে বাড্ডা হাইস্কুল মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি (গুলশান জোন) আয়োজিত সমাবেশে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, জনগণ তা বিশ্বাস করে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে; এর অর্থ বিগত নির্বাচনগুলো সঠিক ছিল না।
এসময় আওয়ামী লীগকে রাস্তায় পরীক্ষা দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, দেশে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে রাস্তায় আসুন, সেখানে পরীক্ষা হবে।
মোশাররফ বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দিয়ে এদেশে নির্বাচন করতে হবে। এদেশে কোনো ইভিএম মার্কা ভোট ডাকাতি চলবে না। এদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, এটা কেউ বিশ্বাস করে না। তাই আমাদের একটাই দাবি অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করুন (সরকার)।
এ সময় বিএনপি নেতাদের দাবি, তাদের আন্দোলনে সরকার ভয় পেয়েছে। দেশের সাধারণ মানুষের বিএনপির প্রতি সমর্থন আছে বলেও মন্তব্য তাদের।
বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আগে বিএনপি নির্বাচন করে নাই বলেই দিনের ভোট রাতে করতে হয়েছিল তাদের (আওয়ামী লীগ)। আওয়ামী লীগ যে স্বচ্ছ নির্বাচন করে সেটা ২০১৪ সাল এবং ১৮ সালে দেশের জনগণ দেখেছেন। আওয়ামী লীগের ডাকে দেশের জনগণ সাড়া দেয়নি, তাদের মিটিংয়ে লোক হয়নি।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, আমরা চাই এই সরকারের পতন হোক। পতনের পর অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হোক, যদি সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না। কিন্তু আমার ব্যক্তিগত ধারনা, লোকজনের সঙ্গে কথা বলে বুঝেছি আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসার কোনো সম্ভাবনা নেই।
দাবি আদায়ে আন্দোলন আরও জোরদার করার হুঁশিয়ারি নেতাদের।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও এবিএম রাজ্জাকের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, নির্বাহী পরিষদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মহানগর উত্তর বিএনপির নেতা তাবিথ আউয়াল, আমিনুল হক, আব্দুল আলীম নকী, মুনসী বজলুল বাসিত আনজু, শামসুল হক, তহিরুল ইসলাম তুহিন, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব প্রমুখ।