বাংলার প্রবাহ রিপোর্ট: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নামে ভুয়া আইডি বানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেয়েদের অশ্লীল ছবি ও ভিডিও পোস্ট করে আসছিলেন হাফিজুর রহমান বাদল। মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে গোয়েন্দা পুলিশ বাদলকে আটক করেছে। এ ঘটনায় শনিবার রাতেই বরগুনা থানার এস, আই, সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে তথ্য প্রযুক্তি ও ডিজিটাল আইনে মামলা দায়ের করেন। আজ রবিবার সকাল ১০ টায় বরগুনার চিফ জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে বাদলকে।
শনিবার সন্ধ্যায় বরগুনায় প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের সামনে নিজস্ব ঔষধের দোকান থেকে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ভুয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পরিচয়দানকারী হাফিজুর রহমান বাদল (২৭) কে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাদল অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে ডিবি।
হাফিজুর রহমানের বাড়ী বরগুনার ঢলুয়া ইউনিয়নের নলী চরজগাছিয়া গ্রামে। কয়েক বছর সৌদি আরবে ছিলেন। ৬ মাস পূর্বে দেশে এসে ঔষধের দোকান দেন। বাদলের স্ত্রী ও একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদি হাসান সাংবাদিকদের জানান, ব্রাহ্মণবাড়িযার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নামে ভুয়া আইডি বানিয়ে বাদল দীর্ঘ দিন যাবৎ অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে আসছে। তার এই ভুয়া আইডিতে দেড় শতাধিক মেয়ে বন্ধুও রয়েছে। এদের মধ্য ৮-১০ জনের সাথে শারীরিক সম্পর্কও রয়েছে। সৌদি আরব থাকাবস্থায় বাদল এই ভুয়া আইডি চালিয়ে আসছে।
বাংলার প্রবাহ/এস এম হক