সৌদি আরবের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা গেল কয়েক বছরে ২ থেকে ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর শাসনামলে সেটি ৫০ শতাংশে উন্নীত করা হবে। খবর রয়টার্সের।
রোববার (৯ অক্টোবর) ছোট ভাই খালিদ বিন সালমানের ব্যাপারে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।
সরকারপ্রধানের দায়িত্বে বসার পর প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে আসেন যুবরাজ। তিনি ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যরা প্রথমে বাদশাহ সালমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এরপর সেনাবাহিনী ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাদা আলাদা বৈঠক করেন।
দীর্ঘদিন ধরে দেশটির অঘোষিত শাসক মোহাম্মদ বিন সালমান। সৌদি আরবের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে রয়েছে তার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা রয়েছে, যা ভিশন টোয়েন্টি থার্টি নামে পরিচিত।
এরই মধ্যে বেশকিছু পরিকল্পনা বাস্তবে রূপ দিয়েছেন তিনি। নারীদের স্বাধীনতার বিষয়ে নিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদক্ষেপ। বাদশাহ সালমানের পরই তার সিংহাসনে বসার কথা রয়েছে।
সৌদি যুবরাজ সালমান এমবিএস হিসেবেও পরিচিত। এত দিন তিনি উপপ্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করে আসছিলেন। নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী করা হয়েছে তার ছোট ভাই খালিদ বিন সালমানকে। খালিদ এর আগে উপপ্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।
অতীতে সৌদি আরবে সাধারণত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিজের কাছে রাখতেন বাদশাহ। ছেলে মোহাম্মদ বিন সালমানকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেয়ার মাধ্যমে ধীরে হলেও পোক্তভাবেই ক্ষমতা হস্তান্তর অব্যাহত রেখেছেন ৮৬ বছর বয়সী বাদশাহ সালমান।
৩৭ বছর বয়সী সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এরই মধ্যে অর্থ, প্রতিরক্ষা, তেল এবং স্বরাষ্ট্রসহ দেশটির গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন।
এমবিএস ২০১৭ সালে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হন। এর আগে তিনি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।