ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় ফেনী জেলার সব সরকারি দফতর প্রধানের মোবাইল ফোন চালু রাখার নির্দেশনা ও ছুটি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। সোমবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত জরুরি সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
ফেনী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সভায় জেলার সরকারি সব দফতরের প্রধান, জনপ্রতিনিধি, বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রধান ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ফেনীর সমুদ্র উপকূলীয় উপজেলা সোনাগাজীতে ৪৩টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া সব ধরনের প্রতিকূলতা মোকাবিলায় প্রায় ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবী কর্মী সিপিপি এরইমধ্যে মাঠে সতর্ক বার্তা প্রচার ও ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসতে কাজ করছেন।
এদিকে, ঝড়ের সময় যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখতে করাত শ্রমিক, ফায়ার সার্ভিস কর্মী, বিদ্যুৎকর্মী, ১৪টি মেডিকেল টিম উপকূলীয় এলাকায় অবস্থান করছে। আশ্রয় কেন্দ্রে তাৎক্ষণিক বিতরণের জন্য ১১ হাজার পানির বোতল, ৫০০ কেজি চিড়া, ২০০ কেজি মুড়ি, ১৫০ কেজি গুড়, ৫০ কার্টুন মোমবাতি, ৫০ কার্টুন দিয়াশলাই প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া সরকারের কাছ থেকে ২৫ মেট্রিক টন চাল ও ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এরমধ্যেই শুকনা খাবারের এক হাজার প্যাকেট প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতি প্যাকেটে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ লিটার ভোজ্যতেল, ১ কেজি চিনি, ১ কেজি আয়োডিনযুক্ত লবণ, ১০০ গ্রাম মরিচ গুড়া, ২০০ গ্রাম হলুদ গুড়া, ১০০ গ্রাম ধনিয়া গুড়া, ১ প্যাকেট বিস্কুট রয়েছে।
ফেনী জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং বিদায় হওয়া পর্যন্ত জানমাল রক্ষায় সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে উপস্থিত সবার প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় চলে যাওয়ার পরও সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। আর সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা রয়েছে।