ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বরিশালে সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। এ ছাড়া বেড়েছে সব নদ-নদীর পানি। ফলে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে শুরু করেছে মানুষ। সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাতে সময় সংবাদকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সোহেল মারুফ।
সোহেল মারুফ বলেন, এরই মধ্যে বরিশাল জেলার ৫৪১টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৫৫০টি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় প্রায় ১৬ হাজার ৮৮৯ জন আশ্রয় নিয়েছেন। এ ছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ৪ হাজার ৯৩৫টি গবাদি পশু রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ ও হিজলা উপজেলার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আশ্রয় নেয়া লোকজনের সংখ্যা বেশি। এ ছাড়া বাকেরগঞ্জে কিছু লোক আশ্রয় নিয়েছে। আমরা তাদের সবদিক থেকে সহায়তা করছি।’
এ বিষয়ে বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার জানান, আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সব মিলিয়ে প্রায় ৪ লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এ ছাড়া মোমবাতিসহ প্রয়োজনীয় সবকিছুই আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে পৌঁছানো হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। পর্যাপ্ত সুপেয় পানি, শুকনা খাবার এবং ওষুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোথাও কোনো সমস্যা হবে না আশা করি।
এদিকে টানা বৃষ্টি আর ঝড়ো বাতাসে পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে দমকা ও ঝড়ো হাওয়ার দাপট। ফলে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে।
বরিশাল আবহাওয়া অধিদফতরের পর্যবেক্ষক মাজহারুল ইসলাম জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে ৫ থেকে ৮ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি মঙ্গলবার মধ্যরাতে বরিশাল অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে।
তিনি আরও জানান, সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ২৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া নদীবন্দরে ৩ ও সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর সংকেত রয়েছে। বর্তমানে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার। বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের গতিবেগও বাড়তে থাকবে।
এদিকে সকাল থেকে সব রুটের লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ।