বৈরী আবহাওয়ার কারণে বরিশালের অভ্যন্তরীণ রুটে ছোট লঞ্চ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বিআইডব্লিউটিএ। বৈরী আবহাওয়া এবং নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় যাত্রী সাধারনের নিরাপত্তার জন্য বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই নির্দেশনা বলবত থাকবে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ বরিশালের ট্রাফিক পরিদর্শক মো. কবির হোসেন।
বরিশাল নদী বন্দর থেকে স্থানীয় ১২টি রুটে চলাচল করে ৩৫টি ছোট ছোট লঞ্চ। বৈরী আবহাওয়া থাকায় বুধবার সকালে নদী বন্দরে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত জারী করা হয়। এর পরপরই স্থানীয় ১২টি রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয় বিআইডব্লিউটিএ। যাত্রী সাধারণের নিরাপত্তা এবং দুর্ঘটনা এড়াতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে রাত্রীকালীন বরিশাল-ঢাকা রুটের লঞ্চ চলাচল অব্যহত থাকবে বলে বিআইডব্লিউটিএ’র ট্রাফিক পরিদর্শক মো. কবির হোসেন।
আকস্মিক লঞ্চ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারী করায় দুর্ভোগে পড়েছেন এসব রুটের যাত্রীরা। লঞ্চ বন্ধ না থাকায় সকাল থেকে বরিশাল নদী বন্দরে এসে গন্তব্যে যেতে না পেরে ফিরে গেছেন হাজার হাজার যাত্রী।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র অবজারভার মাহফুজুর রহমান জানান, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে বর্তমানে সুস্পস্ট লঘুচাপ আকারে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের দক্ষিন ও উত্তরাংশে মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় বিরাজ করছে। লঘুচাপের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমূদ্র বন্দর এলাকার উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারনে সমূদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত এবং নদী বন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপক‚লের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে বুধবার সকাল সকাল ৯টা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘন্টায় বরিশালে ২ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃস্টি হয়েছে। মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের আরও সম্ভাবনা আছে। আজ বৃহস্পতিবার বৃষ্টিপাতের একই প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানান আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র অবজারভার মো. মাহফুজুর রহমান।