উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে অনলাইন জুয়া। আশঙ্কাজনক হারে আসক্ত হয়ে পড়ছে তরুণরা। শুধু বিদেশ নয়, দেশেও পরিচালিত হচ্ছে একাধিক জুয়ার সাইট। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ জুয়ার বিজ্ঞাপনের ছড়াছড়ি। পুলিশ ও তথ্য প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা বলছেন, এর মাধ্যমে বিদেশে পাচার হচ্ছে কোটি কোটি টাকা।
ফেসবুক চালু করলেই স্ক্রিনে ভেসে ওঠছে একাধিক অনলাইন জুয়ার পেজ। ফেসবুক আইডি, পেজ, গ্রুপ, ওয়েবসাইট ও মোবাইলভিত্তিক এনক্রিপ্টেড অ্যাপস দিয়ে চলছে জুয়ার এ সাইটগুলো।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ উপলক্ষে লোকাল, সুপার ও অনলাইন এজেন্ট নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তাতে নানা রকম সুবিধার হাতছানি। টাকার নিশ্চয়তাসহ দ্রুত লেনদেনের মাধ্যমে সব ধরনের বেটিং বুঝিয়ে দেয়ার অফার আছে বিজ্ঞাপনে।
এসব জুয়ার সাইটে নিয়মিত পেট্রোলিং করেন এমন সংস্থাগুলোর একটি ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ। তারা বলছে, অনলাইন জুয়ার পরিধি বাড়ছেই। ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড সহজলভ্য হওয়ায় আগ্রহ বাড়ছে জুয়ায়।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ বলেন, ‘অনলাইন জুয়ার বিস্তৃতি অনেক বেড়েছে। আমরা মনিটর করছি। যেসব ক্ষেত্রে সুযোগ আছে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। তবে মামলাগুলো করা হয় পুলিশ বাদী হয়ে। এক্ষেত্রে অপরাধীদের খুঁজে পাওয়া বেশ কষ্টকর। তাই বিটিআরসিকে সব জানানো হচ্ছে, যাতে তারা সাইটগুলো বন্ধ করে দেয়।’
তথ্য প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা বলছেন, আশঙ্কাজনক হারে অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হচ্ছে তরুণরা। খোয়াচ্ছে বিপুল টাকা। আর এ টাকার বড় অংশ চলে যাচ্ছে বিদেশে।
সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষক আরিফ মাঈনুদ্দীন বলছেন, বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৯০ শতাংশের মোবাইল ফোনে এমন (জুয়ার) অ্যাপস পাওয়া যাচ্ছে। বিট কয়েন বা ক্রিপ্টোকারেন্সির এ খেলায় দুই ধাপে টাকাগুলো দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। শুরুর দিকে কিছু লাভ দেখিয়ে পরে মোটা অংকের টাকা নিয়ে প্রতারকরা সব যোগাযোগ বন্ধ করে দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দেয়া তথ্যে মাঝে মাঝে এসব সাইট বন্ধের উদ্যোগ নেয় বিটিআরসি। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাতেও খুব একটা লাভ হয় না।