আরও কয়েক বছর খেলা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল তার। তবে ইনজুরির কারণে অনেক আগেই অবসর নিয়ে নিলেন ৩৯ বছর বয়সী ফরাসি তারকা ফ্র্যাঙ্ক রিবেরি। ২২ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের সমাপ্তি টেনে শুক্রবার (২১ অক্টোবর) টুইটারে বুটজোড়া তুলে রাখার ঘোষণা দেন তিনি।
ফ্রান্সের হয়ে ২০০৬ বিশ্বকাপে ফাইনাল খেলা রিবেরি শুক্রবার (২১ অক্টোবর) টুইটারে লেখেন, ‘বল থেমে গেল। কিন্তু আমার ভেতরের অনুভূতি থামেনি। এই দুর্দান্ত সফরে সঙ্গী হওয়ার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।’ ইচ্ছার বিরুদ্ধে অবসরে যাওয়ার কারণেই হয়তো এমন অনুভূতি জানিয়েছেন সাবেক বায়ার্ন তারকা।
২২ বছরের ক্যারিয়ারের সবমিলিয়ে ৭১৩ ম্যাচ খেলেছেন রিবেরি। করেছেন ১৬৭ গোল, আর করিয়েছেন ২৪৯টি গোল। এ সময়ে জিতেছেন ২৪ ট্রফি। ক্লাব ক্যারিয়ারে বায়ার্ন ছাড়াও পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারে মেৎজ, গ্যালাতাসারাই, মার্শেই এবং ফিওরেন্টিনার হয়ে খেলেছেন ৩৯ বছর বয়সী রিবেরি। তবে তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে উজ্জ্বল সময় কেটেছে বায়ার্নে। জার্মান জায়ান্টদের জার্সিতে ১২ মৌসুম খেলে ৯টি বুন্দেসলিগার শিরোপা জিতেছেন তিনি।
এছাড়াও বাভারিয়ানদের হয়ে ৬টি জার্মান কাপ, একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, একটি উয়েফা সুপার কাপ এবং একটি ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জেতার স্বাদ পেয়েছেন রিবেরি। ক্লাবটির হয়ে বুন্দেসলিগায় ২৭৩টি ম্যাচ খেলে ৮৬টি গোল করার পাশাপাশি সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ৯২ গোল।
ফ্রান্সের জার্সিতে ৮১ ম্যাচ খেলেছেন রিবেরি। ২০১৪ সালে জাতীয় দলকে বিদায় বলে দেয়ার আগে ১৬ গোল করেছেন তিনি। ২০০৬ বিশ্বকাপের রানার্সআপ হওয়া ফরাসি দলটির স্কোয়াডে ছিলেন রিবেরি।
বায়ার্ন ছাড়ার পর ইতালির ক্লাব ফিওরেন্টিনায় যোগ দেন রিবেরি। ক্লাবটির হয়ে ৫১ ম্যাচে ৫ গোল করার পাশাপাশি ৯টি অ্যাসিস্টেও নাম লেখান তিনি। এরপর ২০২১ সালে সালেরনিটানাতে পাড়ি জমান। সেখানে সবমিলিয়ে ২৫ ম্যাচে তিনটি অ্যাসিস্ট করেছেন রিবেরি।
চলতি মৌসুমে তিনি মাঠে নেমেছেন মাত্র দুটি ম্যাচে। এরপর হাঁটুর ইনজুরির কারণে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। এরপর চিকিৎসকরা দিয়েছেন কঠোর বার্তা, যার কারণে ফুটবলকে বিদায় বলতে হয় রিবেরিকে। তবে অবসর নিলেও সালেরনিটানার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছেন না রিবেরি। তাকে নতুন কোনো ভূমিকায় দেখা যাবে ক্লাবটিতে।